নয়াদিল্লি: ইউক্রেনে হামলার সময় থেকেই একাধিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছিল রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও সমবেতভাবে রাশিয়াকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রবল শীতে ব্যাপক জ্বালানীর ঘাটতি হবে জেনেও নাকি রাশিয়ার থেকে পেট্রল-ডিজেল নেওয়া বন্ধ করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। মস্কোর অর্থনীতির অন্যতম মূল ভিত্তি তেল রপ্তানিতে আঘাত আসায় রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা ছিল বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই মুহূর্তে পুতিন কেবল পাশে পেয়েছিলেন ভারতকে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত চাপ উপেক্ষা করে রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করেছিল ভারত। এর ফলে বিভিন্ন সময় ইউরোপীয় দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের কাছে সমালোচনা সহ্য করতে হয়েচে দিল্লিকে। তবে এবার সেই সমালোচনার মোক্ষম জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিন মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জয়শঙ্করের বিবৃতি ছাপা হয়েছে। সেখানে তিনি বলচেন, ‘২০২২-এর ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের থেকে ৬গুণ বেশি তেল রাশিয়ার থেকে আমদানি করেছে ইউরোপ। একটি ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের মাথাপিছু আয় সম্পন্ন দেশের যদি তাদের স্বার্থ নিয়ে ভাবার অধিকার থাকতে পারে, তবে একটি ২ হাজার মার্কিন ডলারের মাথাপিছু আয় সম্পন্ন দেশের সেই অধিকার কেন থাকবে না!’