• দেনার দায়ে জর্জরিত, পেলের ফেয়ারওয়েল বল বিক্রির কথা ভাবছে ব্রাজিলীয় দম্পতি
    প্রতিদিন | ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই গল্প ব্রাজিলে বহুল চর্চিত। ফুটবল সম্রাটের প্রয়াণের পরে তা নতুন করে প্রকাশিত হয়েছে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ?ও গ্লোবো?য়। 

    গল্পটা কী? ব্রাজিলের জাতীয় দলের হয়ে শেষ বার পেলে খেলেছিলেন ১৯৭১ সালে। সেই প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের (Brazil) প্রতিপক্ষ ছিল তৎকালীন যুগোস্লাভিয়া। মারাকানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচটি ২-২ গোলে শেষ হয়েছিল। ম্যাচটির প্রথমার্ধে খেলেছিলেন ফুটবল-সম্রাট। সেদিন প্রায় দেড় লক্ষ দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন মারাকানায়।

    দেশের হয়ে পেলের (Pele) শেষ ম্যাচ। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি স্বয়ং সম্রাট। দর্শকদের সামনে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারেননি। কেঁদে ফেলেন তিনি। খেলা শুরুর আগে অবশ্য পেলে বলে শট মেরে পাঠান মারাকানার গ্যালারিতে। পেলের ফেয়ারওয়েল ম্যাচ দেখতে মাঠে গিয়েছিলেন গোতেইরা। তিনি লুইজ আন্তোনিও হারকিউলিস নামেই পরিচিত ছিলেন। পেলের শট করে পাঠানো বলটি লুইজ আন্তোনিওর কাছে এলে তিনি আর তা মাঠে ফেরত দেননি। বলটি নিজের কাছেই রেখে দেন স্মারক হিসেবে।

    ১৯৭১ সালের পরে কেটে গিয়েছে ৫১ বছর। সেই ফেয়ারওয়েল বলটি এখন বিক্রি করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লুইজ আন্তোনিও হারকিউলিস মারা গিয়েছেন ২০০৯ সালে। পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যাওয়ার আগে লুইজ আন্তোনিও হারকিউলিস বলটি দিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর ভাইপো এডুয়ার্ডোর কাছে। তিনিই এখন সেই বলের মালিক। এডুয়ার্ডোর আর্থিক অবস্থা খারাপ। দেনার দায়ে জর্জরিত। তাঁদের বসত বাড়িটা বেহাত হতে চলেছে। বাড়িটি বাঁচাতে হলে একটাই উপায় খোলা এডুয়ার্ডোর সামনে। ফুটবল-সম্রাটের স্মৃতি সম্বলিত বলটি বিক্রি করতে হবে এডুয়ার্ডোকে। বলটি বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে দম্পতি।

    এদিকে, এডুয়ার্ডোর স্ত্রী আনা পাউলা সন্তানসম্ভবা। তিনিই ব্রাজিলের সংবাদপত্রে জানিয়েছেন, পেলের ফেয়ারওয়েল বল বিক্রির কথা। কাকা লুইজ আন্তোনিওর কাছ থেকে আরও একটি পেলের স্মৃতি পেয়েছিলেন এডুয়ার্ডো। সেটি ১৯৭১ সালের ব্রাজিল-যুগোস্লাভিয়া ম্যাচের টিকিট।

    জীবদ্দশায় বহু কঠিন ম্যাচ জিতিয়েছেন পেলে। তাঁর জাদুবলে তিন-তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। সম্রাটের ফুটবল অনেকেরই প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ। তাঁর দর্শন, ভালবাসা, ভালবাসা এবং ভালবাসা-অনেকেরই জীবন চলার পাথেয়। প্রয়াণের পরেও তিনি অনেকের জীবনের আশ্রয়। দেখা যাচ্ছে, তাঁকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে জীবন। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)