এমনিতেই প্রজাতন্ত্র দিবসে সাজিয়ে তোলা হয় রাজভবনকে। এ বার সেইদিনেই সরস্বতী পুজো। তাই প্রতি বছরের মতো জাতীয় পতাকার ত্রিবর্ণ রঙের আলোক মালায় সাজানো হয়েছে রাজভবন। আর শ্রীপঞ্চমী তিথির ছোঁয়া রাখতে রাজভবনের প্রত্যেক দরজায় দেওয়া হয়েছে বাঙালি ঘরানার আলপনা। রাজভবনের এমন সাজানো পরিবেশেই আনন্দ বোসের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হবে। রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বাংলা ভাষা নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছিলেন আনন্দ। বড়দিনে বাংলা বই লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের শতবর্ষ উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে আবার আনন্দ বোস বলেছিলেন, ‘‘এই বাংলা হল সোনার বাংলা। এখানে শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতির অনেক চর্চা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা গল্প আমি পড়েছি। ছোট্ট মেয়ে মিনির চরিত্রটা আমার মনে দাগ কেটে যায়।’’ তাঁর আরও দাবি ছিল, বাবা সুভাষচন্দ্র বসুর ভক্ত ছিলেন বলেই তাঁর নামের সঙ্গে ‘বোস’ জুড়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল পদের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, তিনি বাংলা শিখছেন। এ বার সেই বাংলার শেখার আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা হবে সুসজ্জিত রাজভবনে।