• প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে সংবিধান ও দেশের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের প্রশংসা রাষ্ট্রপতির গলায়
    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস | ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
  • গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে ভারত সফল। কারণ, বিভিন্ন ধর্ম এবং বিভিন্ন ভাষা একে বিভক্ত করেনি। বরং, দেশকে একত্রিত করেছে। ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার প্রথম বার্তায় দেশবাসীকে এমনই বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, ‘এই একতার কথা সংবিধানেই ছিল। যা সময়ের অগ্রগতিতেও নষ্ট হয়নি।’ দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যে বা যাঁরা আধুনিক ভারতীয় মননকে রূপ দিয়েছেন, তাঁরা বিদেশ থেকে এবং সমস্ত দিক থেকে আসা প্রগতিশীল ভারতের ধারণাগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন।’ আর, সেই কারণেই বৈদিক উপদেশ মেনে উচ্চস্তরের চিন্তাভাবনাকে গ্রহণ করার পক্ষেই সওয়াল করেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, ‘এক দীর্ঘ এবং গভীর চিন্তাপ্রক্রিয়া দেশের সংবিধানেই রয়েছে।’

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা শুধু স্বাধীনতাই রক্ষা করেননি। বরং, দেশকে আরোপিত মূল্যবোধ এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও মুক্ত করেছিলেন। বিপ্লবী এবং সমাজ সংস্কারকরা আমাদের শান্তি, ভ্রাতৃত্ব এবং সাম্যের প্রাচীন মূল্যবোধ জানতে সাহায্য করার জন্য স্বপ্নদর্শী এবং আদর্শবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এই দেশের অন্তরাত্মা দীর্ঘ বিদেশি শাসনের ফলে তৈরি হওয়া তীব্র দারিদ্র্য কিংবা অশিক্ষার মত প্রবল প্রতিকূলতা অথবা এর বৈচিত্র্যকেও ভয় পায়নি।’

    গত জুলাইয়েই রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। প্রজাতন্ত্র দিবসের পূর্বে দেওয়া তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে প্রান্তিকদের জন্য মোদী সরকারের উদ্যোগের কথাও। কেন্দ্রের সেই উদ্যোগের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘লিঙ্গ সমতা আর নিছক স্লোগান নয়। বিভিন্ন রাজ্যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমার সফরের সময় এবং বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে দেখা করার সময় আমি তরুণীদের আস্থা দেখে অবাক হয়েছি। তাঁরা যে আগামিদিনের ভারত গড়ায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেবে, সেই ব্যাপারে আমার কোনও সন্দেহ নেই। এই অর্ধেক জনসংখ্যাকে জাতি গঠনে অবদান রাখতে উৎসাহিত করা হলে, কোন অলৌকিক কাজ করা যাবে না?’
  • Link to this news (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)