• দুর্ঘটনায় মৃত ইন্দিরা-রাজীবকে শহিদের দরজা কেন মন্তব্য উত্তরাখণ্ডের বিজেপি মন্ত্রীর 
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • দেরাদুন, ১ ফেব্রুয়ারি ? ভারতই একমাত্র স্থান যেখানে যাকে খুশি নিয়ে যা খুশি বলা যায়। তা সে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীই হন না কেন। এমনই এক ঘটনা সামনে এল। বুধবার উত্তরাখণ্ডের এক মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধির মৃত্যু নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন তা বিরল বলা চলে।উত্তরাখণ্ডের কৃষি, কৃষক কল্যাণ ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা গণেশ যোশীর দাবি, ইন্দিরা-রাজীবের মৃত্যুর ঘটনা নেহাতই দুর্ঘটনা । শহিদ তকমা গান্ধি পরিবারের ‘একচেটিয়া অধিকার’ নয়। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে রাহুলকে কটাক্ষ করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন ।

    সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে শেষ হয়েছে রাহুল গান্ধির ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। সেখানে লাল চকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী এবং বাবা রাজীব গান্ধির হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। এই প্রেক্ষিতেই গান্ধি পরিবারের শহিদ তকমা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন গণেশ যোশী।

    গত শতকের প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রীর হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ?শহিদ তকমা গান্ধি পরিবারের ‘একচেটিয়া অধিকার’ নয়। স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, সাভারকারদের শহিদ হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু গান্ধি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যেটা ঘটেছিল সেটা নেহাতই দুর্ঘটনা। এই দুটোর মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক রয়েছে।?

    অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরে রাহুল গান্ধির ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নির্বিঘ্নে শেষ হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন গণেশ যোশী। তিনি বলেছেন, “কাশ্মীরে এই যাত্রার সফলতার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর নেতৃত্বে ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি না ঘটলে জম্মু-কাশ্মীর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরত না। আর তাহলে রাহুল গান্ধীও লালচকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারতেন না।”
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)