• Gun Violence in USA: মাত্র ১ মাসেই ৫২টি বন্দুক-হামলা, মৃত প্রায় ১০০, আহত কয়েকশো! হাড়হিম করা এই হিংসা কোথায় জানেন?
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেখলেই যেন শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়-- এক মাসে ৫২টি বন্দুক-হামলা, যার জেরে মৃত্যু ৯৮ জনের! ঘটনাস্থল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই রক্তাক্ত হিংসা ঘটেছে এই চলতি বছরেই! এ বছরের প্রথম মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আতঙ্ক মার্কিন সমাজের সর্বস্তরে!

    আরও পড়ুন: 

    এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে, বন্দুক-হামলা থামাতে মার্কিন দেশের আইনপ্রণেতারা বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও ভাবেই থামানো যাচ্ছে না এই ধরনের হামলা। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে বন্দুক-হামলার ঘটনা। নতুন বছরের শুধু প্রথম মাসেই ৫২টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানে, যার জেরে ৯৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহতের সংখ্যা ২০৫। 'গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ' নামক এক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

    আরও পড়ুন:

    বন্দুক-হিংসা বন্ধে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূলত জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরই বন্দুক-হিংসা কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেদেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে বন্দুক হামলার ঘটনা!

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই 'গান ভায়োলেন্স আর্কাইভে'র কথা উল্লেখ করে সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৬৯১টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এতে প্রাণ গিয়েছিল অন্ততপক্ষে ৭০৬ জনের এবং আহত হয়েছিলেন ১১৫ জন। আর গত বছরে, ২০২২ সালে ৬৪৮টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এই সব হামলায় ৬৭৩ জন নিহত এবং কয়েকশো মানুষ আহত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩-এর পরিসংখ্যান যা বলছে, তাতে সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, হয়তো এ বছরই এ সংক্রান্ত সব রেকর্ড ভেঙে যাবে! 

    গত বছরের ১৪ মে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের এক সুপারশপে ভয়াবহ এক হামলায় নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১০ জন। একই মাসে টেক্সাসের ইউভালদে শহরের এক স্কুলে আরেকটি বড়মাপের হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এতে ২২ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। আহত হয়েছিলেন বহু মানুষ।

    ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে তার ৫০ শতাংশের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, হামলাকারী ব্যক্তিগত সংকট, পারিবারিক অশান্তি বা তাঁর কর্মক্ষেত্রের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। সেই টেনশন নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তিনি এই রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন। তথ্য বলছে, কর্মক্ষেত্র, স্কুল, উপাসনালয়, গণপরিবহণ-সহ আরও কয়েকটি স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই সব হামলায় ৫১৩ জন নিহত এবং ১২৩৪ জন আহত হয়েছেন।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)