• বিধাননগরে রমরমিয়ে বিদেশি পর্নোগ্রাফির শুটিং, লাইভ সম্প্রচারও...!
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • নান্টু হাজরা: অন্তর্দেশীয় সেক্স ৱ্যাকেটের হদিশ। খাস কলকাতায় আন্তর্জাতিক মধুচক্র! বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিসের হাতে গ্রেফতার এক। বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় গেস্ট হাউসে বসে পর্ণগ্রাফির শুটিং। অনলাইনে সেক্স ভিডিয়ো ও বিভিন্ন গেস্টহাউসে তরুণী পাঠিয়ে সেক্স ৱ্যাকেট চালানোর অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার মিডলম্যান। ধৃতের নাম নারায়ণ দাস। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভিন রাজ্য থেকে তরুণী নিয়ে এসে জোর করে আটকে রেখে এই ব্যবসা চালাত বলে অভিযোগ। রেস্টুরেন্টে কাজ করার পাশাপাশি নারায়ণ দাস এই ব্যবসা চালাত। বড়ো বড়ো মাথার যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগকারী তরুণীর অভিযোগ। এই চক্রের পিছনে মূল পান্ডার খোঁজে বিধাননগর পুলিশস কমিশনারেট। গোটা ঘটনার তদন্তে বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিস।

    তরুণীর অভিযোগ, ৪ জানুয়ারি কাজের জন্য বিএল ৮২ গেস্ট হাউজে আসি। সেখানে আমাকে থাকতে বলা হয়। আমি সেখানে থাকি। আমি বুঝতে পারি যে, ওখানে গোপন ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। ওখানে বেআইনি কিছু হচ্ছে। তারপর জানতে পারি যে ওখানে যারা ক্লাইন্ট আসেন, তাঁদের দিয়ে পর্ন ভিডিয়োর ব্যবসা হচ্ছে। এছাড়া মাদকও চলে এখানে। মেয়েদের এমএমএস বানিয়ে লাইভ ভিডিয়োর ব্রডকাস্ট করা হয়। ট্রিপল এক্স ভিডিয়োরও লাইভ ব্রডকাস্টিং হচ্ছে। ৬-৭ দিন থাকার পর নারায়ণ দাস আরও একটি জায়গায় নিয়ে যায়। ওখানেও গেস্ট হাউজে নিয়ে রাখে। সেখানেও পর্ন বানানো হয়। শুধু ভারতের মধ্যে নয়, ভারতের বাইরেও ওরা লাইভ ভিডিয়ো ব্রডকাস্ট করছে। পর্নোগ্রাফির ব্যবসা চলছে। এর সাথে অনেকেই যুক্ত আছে। নারায়ণ দাস ওটা দেখাশোনা করে এবং  মেয়েদের পরিচালনা করা। এছাড়া আরও অনেকে আছে। তিনটে মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল। যাঁদের আনা হয়েছিল দিল্লি, গুরগাঁও, হরিয়ানা থেকে। একজন ছিল ভোজপুরি সিনেমার আইটেম গার্লও। 

    মেয়েদের অজান্তেই তাদের গোপন ভিডিয়ো শুট করে তা সম্প্রচার করা হচ্ছে। এমনকি বিদেশ থেকে ভিডিয়ো কলও আসত। দুজন ভিডিয়ো কল করে লন্ডন থেকে। আরেকজন বাংলাদেশ থেকে। এই ঘটনায় বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ওই তরুণী। অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড় বসে পুলিস। অভিযোগের ভিত্তিতে নারায়ণ দাসকে গ্রেফতার করে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিস।

    আরও পড়ুন, 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)