• তপন কান্দু খুনের মামলায় নতুন মোড়, নির্দল কাউন্সিলরকে জিজ্ঞাসাবাদ CBI-র
    এই সময় | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • West Bengal News : ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের (Tapan Kandu Murder Case) মামলায় এবার নির্দল কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করল CBI। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে CBI সূত্রে খবর। CBI যা জানতে চেয়েছে, সেই সম্পর্কে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিলা দেবী।

    উল্লেখ্য, শিলা চট্টোপাধ্যায় কিছুদিন পূর্বে কংগ্রেসের সমর্থনে এক দিনের জন্য ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধানের আসনে বসেছিলেন। সূত্রের খবর, গতকাল বিকেল চারটা থেকে ঘণ্ট দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শিলা চট্টোপাধ্যায়কে। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "আমার কাছ থেকে ওঁরা কিছু জিনিস জানতে চেয়েছিলেন, যা যা ওঁরা জানতে চেয়েছিলেন আমি সব জানিয়ে দিয়েছি।" CBI-এর কাজের ব্যাপারে আমাদের আস্থা রয়েছে, ওঁরা ভালো কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন শিলা দেবী। তবে দীর্ঘদিন পর ফের CBI তিন নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলরকে তলব করায় নতুন করে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে ঝালদায়। যদিও এই বিষয়ে CBI আধিকারিকদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।

    প্রসঙ্গত, তপন কান্দুর মৃত্যুর পর থেকে ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠন নিয়ে টালবাহানা চলেছে। কিছুদিন আগে হাইকোর্টের নির্দেশে ঝালদায় পুর প্রধান নির্বাচন হয়। দীর্ঘ টানাপোড়েন, আইনি লড়াই পড়ে বোর্ড দখল করেছিল কংগ্রেস। চেয়ারপার্সন হন শিলা চট্টোপাধ্যায়। ৭-০ ভোটে জিতে বোর্ড দখল করে কংগ্রেস। ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভায় বর্তমানে ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর, ১ জন নির্দল কাউন্সিলর এবং ৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে থাকলেও তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। তবে আপাতত শিলা চট্টোপাধ্যায় আর চেয়ারপার্সনের পদে নেই। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁকে পদচ্যুত করেন মহকুমা শাসক। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। ঝালদা পুরসভায় এখন পুর প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।

    গত বছর ১৩ মার্চ ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর করা হয়। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনা তদন্তভার দেওয়া হয় CBI-এর হাতে। তপন কান্দুকে খুনের ঘটনায় প্রথমে সিট গঠন করা হয়েছিল রাজ্য পুলিশের তরফে। এই ঘটনায় তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে প্রয়াত কাউন্সিলরের দাদা নরেন কান্দুকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তপন কান্দুর খুনের কিছুদিনের মধ্যে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
  • Link to this news (এই সময়)