• বাসন্তীতে বিস্ফোরণে জড়িত তৃণমূলই, বিধায়কের দাবি উড়িয়ে জানালেন ব্লক যুব সভাপতি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • বিস্ফোরণে ভেঙে পড়েছে দেওয়াল, তখনও ধোঁয়া বেরোচ্ছে ঘর থেকে। আর সেই ঘরের মাথায় উড়ছে তৃণমূলের পতাকা। বাসন্তী বিস্ফোরণে তার পরও স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল দাবি করেছিলেন, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। তবে রাত পোহাতে না পোহাতে বিধায়কের দাবি নস্যাৎ করে দিলেন ব্লক যুব সভাপতি আমানুল্লা নস্কর। তাঁর দাবি, তাঁর সভায় গ্রামবাসীদের আসতে বাধা দিতেই বোম বাঁধার কাজ চলছিল।

    আমানুল্লাহ জানিয়েছেন বাসন্তীর আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ওই এলাকায় গত মাসে সভা করেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তার কয়েকদিন পরই সেখানে সভা করতে যান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে তৃণমূলেরই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত প্রধানকে অন্ধকারে রেখে সেখানে ঘনিষ্ঠদের নিয়ে রাজনীতি করছেন বিধায়ক শ্যামল নস্কর। এর পর ওই পঞ্চায়েতের সদস্যের ওপর শ্যামল নস্করের অনুগামীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই হামলার প্রতিবাদে কাঁঠালবেড়িয়ায় পালটা সভা ডাকেন ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি আমানুল্লাহ নস্কর। সেই সভায় গ্রামবাসীদের যেতে বাধা দিতেই বোমা বাঁধার কাজ চলছিল।

    শনিবার সকালে বাসন্তীর আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মনিরুল খানের বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে আহত হন ৩ জন। মৃত্যু হয় ১ জনের। এই ঘটনায় মনিরুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি তৃণমূলি পঞ্চায়েত প্রধানের ঘনিষ্ঠ বলে জনা গিয়েছে।

    যদিও এই ঘটনায় স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের দাবি, ‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। পুলিশকে বলেছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।’

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)