• Property Tax : নিজেরাই নিজেদের সম্পত্তি কর ঠিক করবেন সেক্টর ফাইভের বাসিন্দারা
    এই সময় | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • এই সময়: তথ্যপ্রযুক্তির খাসতালুক বলে পরিচিত সেক্টর ফাইভে যাঁদের সম্পত্তি রয়েছে, তাঁদের আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে নতুন হারে সম্পত্তি কর দিতে হবে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষ থেকে ওই এলাকায় 'ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট' পদ্ধতিতে সম্পত্তি কর নেওয়া শুরু করবেন নবদিগন্ত শিল্পতালুক কর্তৃপক্ষ। এই নয়া পদ্ধতির ফলে করদাতারা যেমন নিজেরা নিজেদের সম্পত্তি কর নির্ধারণ করতে পারবেন, তেমনই এক ধাক্কায় আয়ও অনেকটা বাড়বে বলে সরকারি সূত্রে খবর। ধাপে-ধাপে নবদিগন্ত শিল্পতালুকের মতো যে স্বশাসিত সংস্থাগুলি রয়েছে, সেখানেও নয়া হারে সম্পত্তি কর নেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পুর দপ্তরের এক কর্তা। দীর্ঘ দিন ধরে সেক্টর ফাইভ মূলত বাণিজ্যিক এলাকা বলে পরিচিত। শুরু থেকে এই এলাকায় 'এআরভি' বা 'অ্যানুয়াল রেন্টাল ভ্যালু' পদ্ধতিতে সম্পত্তি কর নির্ণয় করা হতো৷ কী এই পদ্ধতি? নবদিগন্ত শিল্পতালুকের কর্তারা বলছেন, এত দিন কোনও সম্পত্তি থেকে যে বার্ষিক ভাড়া পাওয়া যায় বা বছরে যে ভাড়া পাওয়া যেতে পারে, তা থেকে ১০ শতাংশ মেরামতি খাতে ছাড় দিয়ে সম্পত্তির বার্ষিক মূল্য (এভি) নির্ধারণ করা হয়।

    বার্ষিক মূল্যের ন্যূনতম ১১ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ হারে ধার্য হতো কর৷ এই পদ্ধতি ছিল ভীষণই জটিল৷ যার ফলে নির্ণয়ে বহু বেনিয়মও ঘটত বলে অভিযোগ। তাই এই ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত। ওয়েস্ট বেঙ্গল ভ্যালুয়েশন বোর্ডই এই নয়া হারে সম্পত্তি করের কাঠামোর খসড়া তৈরি করে নবদিগন্ত শিল্পতালুক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছে। সেই খসড়ার ভিত্তিতেই নেওয়া হবে হবে সম্পত্তি কর। তবে, এই ব্যবস্থায় সবার সম্পত্তি কর বাড়বে এমন নয়। অনেকের সম্পত্তি কর কমতেও পারে বলে জানা গিয়েছে।

    বর্তমানে সম্পত্তি কর প্রদান করে থাকে এমন বিল্ডিংয়ের সংখ্যা ১২১০টি। সব মিলিয়ে সম্পত্তি কর বাবদ বছরে ঘরে আসে ৭০ কোটি টাকা। কলকাতা পুরসভা এলাকায় ২০১৭ সালেই 'ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট' পদ্ধতিতে কর নেওয়া শুরু হয়েছে। যার ফলে পুরসভার আয় বেড়েছে অনেকটাই। শিল্পতালুকের কর্তারা জানাচ্ছেন, নতুন হারে সম্পত্তি করের পরিমাণ কতটা হবে সে বিষয়ে খুব শীঘ্রই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। সম্পত্তি কর প্রদানের পুরোনো পদ্ধতি থেকে নতুন পদ্ধতিতে নাম নথিভুক্ত করার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে করদাতাদের। তা যেমন নবদিগন্ত শিল্পতালুক কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে মিলবে তেমনই অফিস থেকেও পাওয়া যাবে। শিল্পতালুকের এক কর্তা বলছেন, পানীয় জল থেকে শুরু করে নিকাশি, সব ক্ষেত্রেই আমাদের পরিষেবা অনেক উন্নত। ফলে, তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আয় বাড়ানোটাও খুব জরুরি।
  • Link to this news (এই সময়)