• Turkey Earthquake : জোরাল ভূমিকম্পে কাঁপল তুরস্ক, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৭.৮
    এই সময় | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক (Turkey Earthquake)। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৭.৮। জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণ পূর্বে গাজিয়ানটেপ এলাকায় এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভিস (US Geological Service) জানাচ্ছে, এদিন ভোর ৪টে বেজে ১৭ মিনিট নাগাদ গাজিয়ানটেপের ১৭.৯ কিলোমিটার অঞ্চল জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

    আফটার শকে কাঁপল তুরস্ক

    ৭.৮ রিখটার স্কেলের মাত্রার ভূমিকম্পের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। সম্বিত ফিরতে না ফিরতেই ১৫ মিনিটের ব্যবধানে আফটার শকে কেঁপে উঠল তুরস্ক। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় ভূমিকম্পটিও অত্যন্ত জোরাল মাত্রার ছিল। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.৭। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, পাঁচ জন নাগরিকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। যদিও এই সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের এপিসেন্টার এলাকায় বহু সংখ্যক উদবাস্তু বসবাস করেন। তাবু খাটিয়ে মাইলের পর মাইল এলাকা জুড়ে তাদের বসবাস। ফলে ভোররাতের এই জোড়া ভূমিকম্পে একাধিক উদবাস্তু মানুষের মাথার ছাদ চলে যাওয়ার আশঙ্কা। অত্যধিক ঠান্ডার মধ্যে রাতারাতি এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় তুরস্ক জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

    বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা

    তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের গাজিয়ানটেপ মূলত শিল্প এবং উৎপাদনকেন্দ্র অধ্যুষিত এলাকা। একাধিক কারখানা রয়েছে সেখানে। সিরিয়া ঘেঁষা এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের জেরে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জোরাল এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে পড়শি দেশ লেবানন, সিরিয়া, সাইপ্রাসেও। যদিও এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিয়ে মুখ খোলেনি তুরস্ক সরকার। তবে একাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বহু বহুতল ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বড়সড় ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে এই দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল।

    তুরস্ক বরাবরই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ১৯৯৯ সালে ৭.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দেশকে। ওই ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তার মধ্যে কেবল ইস্তানবুলের (Istanbul) বাসিন্দাই ছিলেন ১ হাজার। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এলাজিগে ভূমিকম্পে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.৮। ওই বছরই অক্টোবর মাসে ৭ মাত্রা কম্পন অনুভূত হয়েছিল এজিয়ন সি-তে। ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল সে সময়। আহত হয়েছিলেন হাজারেরও বেশি। এর আগেও বহুবার বিশেষজ্ঞদের তরফে শক্তিশালী ভূমিকম্প নিয়ে ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছিল। তবে কর্ণপাত করেনি তুরস্কের প্রশাসন। একাধিক বহুতলে সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় বারবার ভূমিকম্পে সেগুলি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েছে। তার নীচে চাপা পড়ার আশঙ্কা বহু মানুষের।
  • Link to this news (এই সময়)