• ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে নয়া ইউনিট ডিভিসি-র
    এই সময় | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • এই সময়, আসানসোল: দুর্গাপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আরও একটি ইউনিট স্থাপন করতে চলেছে ডিভিসি। এটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। শনিবার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ঘুরে দেখে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ডিভিসি-র চেয়ারম্যান রাম নরেশ সিং। তিনি জানান, আগামী চার বছরের মধ্যে নতুন ইউনিটটি কাজ শুরু করবে। আর আগামী সাত বছরের মধ্যে ডিভিসি তার বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৭ হাজার মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট করার লক্ষ্যেও এগোচ্ছে। এর পাশাপাশি শনিবার তিনি দুর্গাপুর ব্যারেজের জলাধারও ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ এবং বিদ্যুৎ ও শক্তি মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সুনীল মণ্ডল। মাইথন বা পাঞ্চেতের মতো দুর্গাপুর ব্যারেজের জল থেকে জলবিদ্যুৎ তৈরির সম্ভাবনার বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন ডিভিসি-র চেয়ারম্যান।

    ডিভিসি সূচনা হয়েছিল ষাটের দশকে। তখন ৭৫ মেগাওয়াট করে দু'টি ইউনিট চালু হয়। এর পর ১৮০ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট এবং ১৯৮২ সালে ২১০ মেগাওয়াটের চতুর্থ ইউনিট চালু হয়েছিল এখানে। ১৯৮৫ সালে আগুন লাগার কারণে দু'টি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাত বছর আগে তৃতীয় ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর আগস্ট মাসে চতুর্থ ইউনিটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুর্গাপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্তমান প্রজেক্ট হেড ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার মলয় বল বলেন, 'চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে চার বছরের আগেই যাতে ৮০০ মেগাওয়াটের নতুন ইউনিটটির কাজ শেষ করা যায়। কেননা এখানে ন্যূনতম যে সব পরিকাঠামো দরকার সবকিছুই আছে।' এদিন চেয়ারম্যানের সঙ্গে দুর্গাপুরে এসেছিলেন ডিভিসি-র মেম্বার সেক্রেটারি জন মাথাই। ডিভিসির সদ্য নিয়োগ করা অফিসারদের প্রশিক্ষণ কেমন হচ্ছে সে ব্যাপারেও এদিন তাঁরা খোঁজখবর নিয়েছেন।

    অন্য দিকে, জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুরে ৬৬০ মেগাওয়াট প্ল্যান্টের যে কাজ বন্ধ ছিল সেটিও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ডিভিসি পুরুলিয়া এবং ঝাড়খণ্ডের দু'টি জায়গাটি চিহ্নিত করেছে। ডিভিসির এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার ডিভিসিকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে তাঁরা আশাবাদী। কারণ, কোনও কোনও ক্ষেত্রে সহজে জমি পাওয়াটা অবশ্যই একটা বড় বিষয় বলে তাঁরা মনে করেন।
  • Link to this news (এই সময়)