সঞ্জয় ভদ্র: ডিলিট মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা! রাজ্যপালের ভূমিকায় ফের অসন্তোষ প্রকাশ করল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা টুইট, 'বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে মহড়া। রাজ্যপালের বক্তব্য শুনে তাই মনে হচ্ছিল'।
ব্যবধান বছর চারেকে। ফের সাম্মানিক ডিলিট পেলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, এবার দিল সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী হাতে ডিলিট তুলে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, 'এই ডক্টরেট অফ লিটারেচার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্য ছিল। রাজনীতিতে সাফল্যের জন্য নয়। সেটা তিনি রাজ্যের মানুষের কাছ থেকে পেয়েছেন। তিনি এই সম্মানের যোগ্য এবং নিজের যোগ্যতাতেই তা অর্জন করেছেন'। এমনকী, 'সাংবিধানিক সহকর্মী' বলেও সম্বোধন করেন মুখ্য়মন্ত্রী।
বিধানসভা ভোটের প্রচারে মমতা এখন ত্রিপুরায়। সন্ধ্যায় আগরতলায় পৌঁছন তিনি। রাতে ডিলিট প্রদান অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এর আগে, সরস্বতী পুজোর দিনে রাজভবনে 'হাতেখড়ি' অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। টুইট করেছিলেন, 'ক্যাশ ফর জবের জন্য বাংলার শিক্ষা কলঙ্কিত হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ দফতরের বহু আধিকারিক জেলে। এই কলঙ্ক থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা দুর্নীতির কুইন পিন মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি'। বস্তুত, ওই অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন তিনি।