• ভাঙা হবে মেটেলির দুর্বল মূর্তি সেতু দুর্ভোগ কমাতে ডাইভারশনের দাবি উঠল
    বর্তমান | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • সংবাদদাতা, মালবাজার: দুর্বল মূর্তি সেতু ভেঙে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে। এ জন্য গত শনিবার থেকে মেটেলির মূর্তি সেতুর উপর দিয়ে সবরকম যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। ফলে মূর্তি থেকে ওই রুটে সরাসরি নাগরাকাটা যাওয়া-আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদেরও অনেকটা ঘুরপথে মূর্তিতে যেতে হচ্ছে। এদিকে কবে নতুন সেতুর কাজ শেষ হবে, সেটাও পরিষ্কার নয়। এমন অবস্থায় পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ট্যুর অপারেটররা। তাই মূর্তি সেতুর পাশে ডাইভারশনের দাবি উঠেছে।  

    জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, দুর্বল সেতুটি ভেঙে দিয়ে সেখানে পূর্তদপ্তর নতুন করে সেতু বানাবে। তাই ওই সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই জায়গায় ডাইভারশনের দাবি উঠেছে। সেই দাবি পূরণ করার চেষ্টা করা হবে। 

    সেতু দিয়ে চলাচল বন্ধ হওয়ায় মূর্তি থেকে চন্দ্রচূড় কিংবা চাপরামারি টাওয়ার যেতে হলে পর্যটকদের অনেকটা দূর চালসা হয়ে ঘুরে যেতে হবে। এতে তাঁদের গাড়িভাড়া বাবদ খরচ অনেকটাই বেশি পড়বে। তাই সকলেই দ্রুত সেতু নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসন অবশ্য দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে। 

    মূর্তি জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর মজিদুল আলম বলেন, দ্রুত সেতুর কাজ শুরু করে তা শেষ করুক প্রশাসন। তাছাড়া যেহেতু ওই রুটটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে, তাই সেখানে ডাইভারশন করে দিলে ভালো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সাবুল হকও বলেন, আমাদের প্রতিদিন নানা কাজে মূর্তি থেকে নাগরাকাটা যেতে হয়। মূর্তি সেতু দিয়ে গেলে ১০ মিনিটেই নাগরাকাটায় পৌঁছে যাওয়া যেত। এখন সেখানে আমাদের ৪০ মিনিট সময় লাগবে। মেটেলির মূর্তি সেতুর উপর দিয়ে নাগরাকাটা যেতে হলে মাত্র ছ’কিমি রাস্তা পেরলেই হয়। কিন্তু, এখন চালসা হয়ে নাগরাকাটা যেতে হলে ২৫ কিমি পথ ঘুরতে হবে। পর্যটকদের সাফারি করার জন্য মূর্তি নদীর ওপারে চন্দ্রচূড় ও চাপরামারি এই দু’টি টাওয়ার। তাঁদেরও এখন চালসা দিয়ে খুনিয়া হয়ে ফের মূর্তির দিকে আসতে হবে। চাপরামারি টাওয়ার যেতে হলে খুনিয়া হয়ে যেতে হবে। মূর্তি থেকে চন্দ্রচূড় টাওয়ারের দূরত্ব চার কিলোমিটার। আর চাপরামারির দূরত্ব ১০ কিমি। এখন চন্দ্রচূড় যেতে হলে ২০ কিমি ও চাপরামারি যেতে হলে ২৫ কিমি ঘুরতে হবে। এতে পর্যটকদের বাড়তি টাকা দিয়েই ওসব জায়গায় কার সাফারির জন্য যেতে হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)