• কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রামে ‘দিদির দূত’
    বর্তমান | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • সংবাদদাতা, পতিরাম: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। অথচ ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেও মানুষের কাজ করছেন, দাবিদাওয়া মেটাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সোমবার ওই পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ, যুব ও ক্রীড়া এবং আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি বটুন পঞ্চায়েতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে যান। বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁরা মন্ত্রীকে সংবর্ধনাও দেন। অরূপবাবুকে পেয়ে অনেকেই সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী পকেটে রাখা ডায়েরিতে নোট করে সমস্যা মেটানোর আশ্বাসও দেন।

    অরূপবাবু বলেন, নামেই বিজেপির পঞ্চায়েত। কিন্তু কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। মমতা সরকারের তরফে এখানকার রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ সহ সব কাজ হচ্ছে। তাই গ্রামে তেমন অভাব অভিযোগ নেই। সবার মুখেই চওড়া হাসি। প্রচুর মানুষের সাড়া পাচ্ছি। ওদের কাছেই শুনলাম, এখানকার বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার নাকি এলাকাতেই আসেন না। বাসিন্দারাই বলছেন, সুকান্তবাবুকে শুধু টিভির পর্দায় দেখা যায়। তাই বাসিন্দাদের মনে তাঁর আর জায়গা নেই। 

    বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের পাইকপাড়া গ্রামের দুঃস্থ মহিলা অর্চনা সরকার বলেন, দীর্ঘদিন আগে বিদ্যুৎ সংয়োগের জন্য আবেদন করেও পাইনি। আরও এক বাসিন্দা নিরঞ্জন পাল বলেন, পাইকপাড়ার রাস্তা খুবই খারাপ। এই রাস্তা দ্রুত মেরামত করে দিলে ভালো হবে। এমন অভিযোগ শুনতেই মন্ত্রী দ্রুত তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন স্থানীয় সৈয়দপুর বিএমএ হাইস্কুলও পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। সেখানে শৌচালয়, খেলার মাঠ, সাংস্কৃতিক মঞ্চ সহ স্থানীয় মানুষদের নানা দাবি তিনি ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করে নানা সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন। বাসিন্দাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সমস্যা লিখে নিয়ে যাচ্ছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েই সমস্যার সমাধান করা হবে। স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প তাঁরা পাচ্ছেন কি না তাও জানতে চান গ্রামবাসীর কাছে। 

    মন্ত্রী বলেন, ৩৪ বছর বাম সরকার ছিল। কোনও কাজ করেনি। কেন্দ্রীয় সরকারও ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনও লাভ হবে না। গ্রামে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা আগামী ৫০ বছরেও কেউ করতে পারবে না। এদিনের কর্মসূচিতে মন্ত্রী ছাড়াও কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল, দলের জেলা চেয়ারম্যান নিখিল সিংহ রায়, জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। বটুনের মাদারগঞ্জ কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। সৈয়দুপুর, চাঁদমোয়া সহ নানা গ্রাম পরিক্রমা শেষে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নেভোজ সেরে বিকেলে বটুন মোড়ে জনসভা করেন অরূপবাবু।
  • Link to this news (বর্তমান)