• এবার রাজ্যপালকে সরাসরি টুইট কটাক্ষে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা, কী লিখলেন শুভেন্দু?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • এই বড়লাটকে আর পছন্দ নয় বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের। তার আভাস আগেই স্বপন দাশগুপ্ত, শমীক ভট্টাচার্যের কথায় প্রকাশ পেয়েছে। ঠারেঠোরে বোঝাতে শুরু করেন বিরোধী দলনেতাও। এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন বলে সোজাসুজি টুইট কটাক্ষে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা। সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি.লিট সম্মান প্রদান করা হয়েছে। সেখানেই উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তারপরই রাজ্যপালের সেই বক্তব্য নিয়ে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজ্যপাল ঠিক কী বলেছিলেন?‌ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, এপিজে আব্দুল কালাম, অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা করেন রাজ্যপাল। এখানেই থেমে না থেকে উইনস্টন চার্চিল, মিল্টনের সঙ্গে এক আসনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বসান রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘‌যেসব রাজনীতিবিদ সাহিত্যেও অনন্য নজির রেখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের মধ্যে অন্যতম। যত্র নারীয়াস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবত। একজন নারী যখন সম্মানিত হন দেবতাও আনন্দিত হন। মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতির জন্য এই সম্মান পাচ্ছেন না। তিনি পাচ্ছেন তাঁর সাহিত্য, কবিতা, ছবির জন্য। বাংলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো যোগ্য নেতা পেয়েছে।’‌

    আর শুভেন্দু কী লিখেছেন?‌ বড়লাটের এমন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করার প্রেক্ষিতে এবার সরাসরি তাঁকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘রাজ্যপালের ভাষণ শুনে মনে হচ্ছিল, যেন উনি রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে যে ঔপচারিক বক্তৃতা দেবেন, তারই মহড়া দিলেন।’ এই টুইটে শুভেন্দু বোঝাতে চান, বাজেট অধিবেশনের ভাষণ রীতি মেনেই পড়বেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে এই টুইটের মধ্যে দিয়ে রাজভবনের বাসিন্দার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে চলে গেলেন বিরোধী দলনেতা। আগে যা কখনও দেখা যায়নি।

    আর কী লিখেছেন টুইটে?‌ রাজ্যপালের করা মন্তব্যের ভিডিয়ো পোস্ট করে অন্য একটি টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে রাজ্যপালের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আংশিকভাবে আমি সমর্থন করছি যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উইনস্টন চার্চিলের মতোই, যিনি ১৯৪২ সালে বাংলায় দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী ছিলেন। ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যা। অনাহার এবং অপুষ্টির কারণে ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।’

    এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4au
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)