• মালদায় জলাশয় থেকে উদ্ধার দুর্গামূর্তি, মন্দির প্রতিষ্ঠার দাবি গ্রামবাসীদের
    এই সময় | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • West Bengal News : মালদার মানিকচকে জলাশয় থেকে উদ্ধার দুর্গামূর্তি। কালিন্দী ঘোষপাড়ায় মায়ের মূর্তি নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাসিন্দারা। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র। মাকে প্রতিষ্ঠা করে যাতে মন্দির নির্মাণ করা যায়, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন বিধায়িকা। গ্রামবাসীদের উপর আস্থা বজায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানালেন তিনি। সোমবার মানিকচকের কালিন্দী ঘোষপাড়া এলাকায় দুর্গামূর্তি উদ্ধারের স্থান পরিদর্শন করলেন বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র। মূর্তি দর্শনের (Durga Devi Idol) পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র। এলাকায় একটি পুকুর থেকে সোমবার দুর্গামূর্তিটি উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এই মূর্তিটি সোনার। তবে গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মূর্তি উদ্ধারের পরেই গ্রামবাসীরা পূজা-অর্চনায় মেতে ওঠেন। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মানিকচক বিধানসভার তৃণমূল বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যান মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথী হালদার সহ পুলিশ কর্তারা।

    এ প্রসঙ্গে বিধায়িকা জানান, "প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রশাসন নেবে।" গ্রামবাসীদের কথা মাথায় রেখে সঠিক পদক্ষেপই নেওয়া হবে বলে জানালেন বিধায়িকা। তিনি জানান, গ্রামবাসীরা চাইছেন এই জায়গা থেকে যেহেতু মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়েছে, সে কারণে এখানেই মাকে প্রতিষ্ঠা করা হোক। তবে সাবিত্রী মিত্রের কথায়, "আমি চাই, মাকে একটু সুন্দর, পরিষ্কার জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা হোক। এবার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশাসন নেবে।" স্থানীয় সূত্রে খবর, মূর্তিটি বহু প্রাচীন নয়। জৌলুস এখনও বর্তমান। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে করা হচ্ছে, মূর্তিটি সোনা দিয়ে নির্মিত। লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক সহ দেবীমূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মূর্তিটি নিয়ে পুজো করা শুরু করে দিয়েছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, "আমাদের এখান থেকে যেহেতু মাকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেহেতু এখানেই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হোক। এখানে জমিও পাওয়া যাবে মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু মা আমাদের কাছে থাকুক।"

    সোমবার দুপুরে স্থানীয় একটি নয়ানজুলিতে জল কম থাকায় স্থানীয় কয়েকজন শিশু সেখানে খেলাধূলা করছিল। সেইসময় একটি শিশু প্রথম মূর্তিটি দেখতে পায়। জলের মধ্যে কিছু একটা চকচক করতে দেখে বাকিদের বিষয়টি জানায় ওই শিশু। নিজেরা কিছু বুঝে উঠতে না পেরে অভিভাবকদের খবর দেয় তারা। শিশুদের কাছে খবর পেয়ে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি এসে থেকে দুর্গামূর্তি তোলেন। মূর্তি বেরোতেই হইচই পড়ে যায় গোটা গ্রাম জুড়ে।
  • Link to this news (এই সময়)