• উদ্ধবের সঙ্গে সম্পর্ক জুড়তে চায় বিজেপি
    বর্তমান | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: শিবসেনা ভেঙে আসা একনাথ সিন্ধের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী অংশকে নিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করলেও, দীর্ঘকালীন ব্যবস্থায় এই ফর্মুলা লাভদায়ক হবে না। কারণ ভোটের ময়দানে একনাথ নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী অংশের সমর্থন ভিত্তি বিশেষ সাহায্য করবে না। এরকমই মনে করছে বিজেপি। আর এই রিপোর্ট দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পেয়েছে সরাসরি নীচুতলার পাঠানো সমীক্ষা থেকেই। তাই লোকসভা ভোটের আগেই উদ্ধব থ্যাকারেকে বিরোধীদের মঞ্চ থকে সরিয়ে আনার প্রয়াস শুরু করবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। বিজেপির লক্ষ্য, বিজেপি ও শিবসেনার সেই পুরনো জোট নিয়েই ভোটের লড়াইয়ে যাওয়া। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মরবে। একদিকে উদ্ধব থ্যাকারেকে জোটে টেনে আনতে পারলে মহারাষ্ট্রে সর্বাধিক আসনে জয় আসবে। অন্যদিকে বিরোধী জোটের উদ্যোগও বড়সড় ধাক্কা দেওয়া খাবে। 

    আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে রামমন্দিরের উদ্বোধন। সেই সময় দেশজুড়ে হাইভোল্টেজ হিন্দুত্বের প্রচার শুরু করবে বিজেপি। তখন শিবসেনার পক্ষে সেই আবেগে থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলে বিজেপি নিশ্চিত। কারণ শিবসেনার ভোটব্যাঙ্কও উগ্র হিন্দুত্ব। উদ্ধব থ্যাকারের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক এতটাই তিক্ত হয়েছে যে, সেই পুরনো মধুর সমীকরণ আর ফিরে আসা কি সম্ভব? আপাতভাবে নয়। কিন্তু বিজেপির অঙ্ক হল, একবার যদি বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশন নির্বাচনে তারা এককভাবে জয়ী হতে পারে,তবে বিপদে পড়বেন উদ্ধব। তাঁর দলের সংগঠনই নড়বড়ে হয়ে যাবে। এভাবে বিরোধী জোটে ফাটল ধরানোর কাজ শুরু করবে বিজেপি। জগন্মোহন রেড্ডি, নবীন পট্টনায়করা বিরোধীদের সঙ্গে নেই। বিজেপির অঙ্ক হল, যে দলগুলিকে নিয়ে জোট তৈরি হওয়ার কথা চলছে বিরোধী শিবিরে, সেই জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এম কে স্ট্যালিন ছাড়া আর কোনও দলের পক্ষে ৩০টির বেশি আসনে জয়ী হয়ে আসা সম্ভব নয়। কংগ্রেসের পক্ষে ১০০ আসনে জেতাও কঠিন। এই অঙ্ককে মাথায় রেখেই বিজেপি এখন থেকে নিজেদের ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছে। সেই কারণেই শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রকে নিষ্কন্টক করার কাজ।
  • Link to this news (বর্তমান)