• এলইউসিসি ইস্যুতে এসজেডিএ’কে চিঠি জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের রাজগঞ্জে নির্মাণ ঘিরে জট ,কাল বৈঠকের সম্ভাবনা
    বর্তমান | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: রাজগঞ্জ ব্লকে ভবন নির্মাণের ল্যান্ড ইউজ কমপেটিবিলিটি সার্টিফিকেট বা এলইউসিসি প্রদান ইস্যুতে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির আপত্তি নিয়ে নীরবতা ভাঙল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু এনিয়ে এসজেডিএ’কে চিঠি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে কাল, বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে এসজেডিএ। 

    জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকে ভবন নির্মাণের এলইউসিসি দেওয়া নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, এসজেডিএ’কে না জানিয়ে ব্লক প্রশাসন দেদার এলইউসিসি দিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে এসজেডিএ। প্রায় পাঁচমাস আগে তারা এলইউসিসি দেওয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে চিঠি দেয়। কিন্তু তাতে সাড়া না মেলায় এসজেডিএ বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দেয়। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভাঙল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের।

    জলপাইগুড়ির জেলাশাসক বলেন, এলইউসিসি সংক্রান্ত এসজেডিএ’র চিঠিতে ডিমার্কেশনের কথা উল্লেখ থাকলেও কোনও নথি দেওয়া হয়নি। তাই তাদের কাছে ডিমার্কেশনের নথি চাওয়া হয়েছে। তা না পেলে কোনও এলাকা বসতি, আর কোনও এলাকা শিল্পের জন্য তা বোঝা যাচ্ছে না। তাই ওই নথি পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

    ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে এলইউসিসি নিয়ে বেআইনিভাবে ভবন গড়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিশেষ করে ইস্টার্ন বাইপাসের দু’ধারে এমন অনৈতিক কার্যকলাপ বেশি হচ্ছে। যার জেরে গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তা ক্রমাগত সংকীর্ণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসায় এসজেডিএ খুশি। এসজেডিএ সূত্রের খবর আগামী কাল, জলপাইগুড়িতে পঞ্চানন বর্মা স্মৃতি আবাসের উদ্বোধন হবে। ওই দিন এসজেডিএ’র সমস্ত পদাধিকারী ও আধিকারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানের পর তাঁরা এলইউসিসির বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকেও বসতে পারেন। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, এলইউসিসির বিষয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে জেলাশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে চলায় ভালো লাগছে। এ ব্যাপারে জেলাশাসক যে নথি চেয়েছেন, তা তাঁকে দেওয়া হবে। 

    শুধু রাজগঞ্জ ব্লক নয়, জলপাইগুড়ি সদরেও ভবন নির্মাণের এলইউসিসি ব্লক প্রশাসন দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এতে এসজেডিএ’র রাজস্ব যেমন মার খাচ্ছে, তেমনই বেআইনিভাবে ভবন গড়ে উঠছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন মহল। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, একদা গ্রামীণ এলাকায় ব্লক প্রশাসনকে ভবন নির্মাণের এলইউসিসি প্রদানের নির্দেশ দেয় পঞ্চায়েত দপ্তর। পরবর্তীতে ব্লক প্রশাসন ও এসজেডিএ’র পরিকাঠামো পর্যালোচনা করে পঞ্চায়েত দপ্তর সেই নির্দেশ সংশোধন করে। তারা এসজেডিএ’কেই এলইউসিসি প্রদানের নির্দেশ দেয়। কিন্তু, রাজগঞ্জ ও জলপাইগুড়ি ব্লকে বেআইনিভাবে ব্লক প্রশাসন এলইউসিসি দিয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে সমীক্ষা করা হবে। আইন মেনে এলইউসিসি নিয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা দেখা হবে। সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। এদিকে রাজগঞ্জ ও জলপাইগুড়ি ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী এলইউসিসি দেওয়া হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)