• সাংসদের উদ্যোগে টনক ন‌‌‌ড়ল প্রশাসনের ঠিক করা হচ্ছে সেতু, স্লুইস গেট ও রাস্তা
    বর্তমান | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • সংবাদদাতা, বজবজ: নামে স্লুইস গেট— কিন্তু তার গেটই তৈরি করা হয়নি। ফলে জল ধরে রাখা যাচ্ছে না। প্রশাসনকে বারবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। এছাড়া বেহাল কাঠের সেতু বা রাস্তার কথাও কেউ কানে তোলেননি। শেষে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে টনক ন‌ড়ল প্রশাসনের। এবার ঠিক হয়েছে, দ্রুত স্লুইস গেট, সেতু এবং রাস্তা ঠিক করে দেওয়া হবে।

    চিংড়িপোতা এবং উত্তর রায়পুর— এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জলসেচের জন্য অনেকদিন আগে স্লুইস গেট তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তা বন্ধ করার দরজা বসানো হয়নি। ফলে সেচের জল সঠিকভাবে কৃষকরা পাচ্ছেন না। স্বভাবতই এলাকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, তা হলে স্লুইস গেট করে লাভ কী হল? এছাড়া চিংড়িপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে রাজারামপুর যাওয়ার জন্য খালের উপর দিয়ে একটি কাঠের পুরনো ফুটব্রিজ রয়েছে। উভয়দিকের গ্রামের বাসিন্দারা ছাড়াও স্কুলপড়ুয়ারা তা দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে তার সংস্কার না হওয়ায় ব্রিজের উপরে একাধিক কাঠের পাটাতন সরে গিয়ে বড় বড় ফাঁক তৈরি হয়েছে। তাতে প্রতিদিন সাইকেল সহ অনেকের পা আটকে দুর্ঘটনা ঘটছে। এনিয়েও গ্রামবাসীদের অভিযোগ ও ক্ষোভ দু’ই রয়েছে। ভুক্তভোগীদের কথায়, বিষয়টি নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় বলা হলেও কোনও হেলদোল নেই। পাশাপাশি চিংড়িপোতা থেকে রাজারামপুর পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটি বেহাল। তা সংস্কারের জন্য অনেকদিন ধরে উপর থেকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাস্তার কাজ শুরু করা যায়নি।

    প্রশ্ন উঠেছে কেন? প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের কথায়, ওই সব কাজ করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে এমন ঘটছে। সেই কারণে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই সমন্বয়ের জন্য সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে এক মাস অন্তর বৈঠকের উপর জোর দিয়েছেন। তেমন এক বৈঠক থেকেই বজবজ-১ ব্লকের ওই সব সমস্যা উঠে এসেছে। সাংসদের চাপে এখন জেলা প্রশাসনের ঢিলেঢালা ভাব কেটেছে। বিষয়গুলি নিয়ে পর্যালোচনার পর জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা স্লু্ইস গেট, বেহাল ফুট ব্রিজ ও রাস্তার জায়গা সরেজমিনে দেখার জন্য একটি টিমকে সেখানে পাঠিয়েছেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেচদপ্তর পাকা কংক্রিটের সেতু করে দেবে। তবে তার আগে এখন কাঠের বেহাল সেতু ঠিক করা হবে। তার টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। 

    এছাড়া স্লুইস গেটে জল ধরে রাখার জন্য সেচদপ্তর একটি লোহার গেট বসাবে। পাশাপাশি রাস্তার কাজও যাতে দ্রুত হয়, তা প্রশাসনিকভাবে দেখা হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)