রবিবারও চ্যানেল এল না টিভিতে দর্শকের পাশাপাশি ক্ষোভ বাড়ছে অপারেটরদেরও
বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রবিবারও টিভিতে পছন্দের চ্যানেল দেখতে পেলেন না রাজ্যের অধিকাংশ দর্শক। শনিবার থেকে কেসিবিপিএল-জিটিপিএল, ডেন বা হ্যাথওয়ের মতো মাল্টি সিস্টেম অপারেটর বা এমএসও’র দর্শকদের টিভি থেকে স্টার, জি এবং সোনি গ্রুপের চ্যানেলগুলি উধাও। চ্যানেলের দাম নিয়ে সম্প্রতি ট্রাই নয়া নির্দেশ জারি করেছে। এমএসওগুলির অভিযোগ, সেই মওকায় এক ধাক্কায় অনেকটাই দাম বাড়িয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। আর সায় না-দেওয়াতেই বন্ধ হয়েছে সম্প্রচার। সুরাহা নিয়ে সবাই অন্ধকারে এবং গ্রাহকের ভোগান্তি চলছেই।
হুগলির মণ্ডল কেবলের কর্ণধার সঞ্চয়ন মণ্ডলের কথায়, গোড়া থেকেই শুনে আসছি, গ্রাহকস্বার্থেই ডিজিটাল পরিষেবা এসেছে। এও শুনেছি, গ্রাহক তাঁরই পছন্দমতো চ্যানেল দেখবেন এবং দাম মেটাবেন। চ্যানেলের দাম বাজারই নাকি ঠিক করে দেবে। অথচ বাস্তবে দেখছি, সেই দর্শক জিএসটি-সমেত ২২ টাকার চ্যানেলের দাম ৩২ টাকা দিতে বাধ্য থাকবেন। গ্রাহক ট্রাই চেনন না, এমএসও চেনেন না। দামবৃদ্ধির কারণ নিয়ে আমাদেরকেই চেপে ধরছেন তাঁরা। কিন্তু কী জবাব দেব আমরা?
হুগলির ওয়ার্ল্ড ভিশন কেবল নেটওয়ার্কের কর্ণধার ভানুপ্রতাপ সিং বলেন, দাম নিয়ে দাদাগিরি চালাচ্ছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ আর গ্রাহকদের জবাব দিতে দিতে জেরবার হয়ে যাচ্ছি আমরা। চলছে প্রিপেড প্যাকেজ। সেখানে গ্রাহক টাকা দিয়েও টিভি দেখতে না পেলে তাঁদের ক্ষোভ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
বারাসতের অন্যতম কেবল অপারেটর অপ্রতিম চৌধুরী রবিবার বলেন, সোমবার আদালতে বিষয়টির মীমাংসা হওয়ার কথা আছে বলে শুনেছি। সেই আশ্বাস দিয়েই দর্শকদের এখনও পর্যন্ত শান্ত রেখেছি। কিন্তু সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে কী হবে জানি না। গ্রাহকদের একাংশ প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছেন যে, কেবল টিভি ছেড়ে তাঁরা ডিটিএইচে চলে যাবেন। ওইসঙ্গে রয়েছে বড় সংস্থাগুলির হরেক প্রলোভন। তাই ব্যবসা হারানোর ভয় রয়েছে সবসময়।
আজ সোমবার সমস্যাটি নিয়ে মাঠে নামছে কেবল অপারেটরদের সংগঠন বিশ্ববাংলা কেবল টিভি অপারেটর ইউনিয়ন। রবিবার তাদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ্ত কর্মকার বলেন, সোমবারের মধ্যে সমস্যা মিটতে পারে বলে শুনছি। না মিটলে ট্রাইয়ের অফিসে আলোচনায় বসব আমরা। এমএসও সংস্থাগুলির কাছেও যাব। সমস্যা তারপরও থাকলে লাগাতার আন্দোলনের পথেই হাঁটতে বাধ্য হব আমরা।