সিমলা: কথায় বলে, শখের দাম লাখ টাকা। কিন্তু এখানে লাখ নয়, নিলামে শখ পূরণের দর ছাড়িয়ে গিয়েছে কোটি টাকা। অনেকেই গাড়িতে ভিআইপি নম্বর পেতে চান। আর তা পেতে কাঠখড়ও কম পোড়াতে হয় না। খরচ করতে হয় গাঁটের কড়ি। কিন্তু তা বলে একলাখি স্কুটারে পছন্দের নম্বর পেতে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা খরচ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হয়েছে সিমলায়। সেখানে পরিবহণ দপ্তরের তরফে এইচপি ৯৯-৯৯৯৯ ভিআইপি নম্বরটিকে স্কুটারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই বিশেষ নম্বর প্লেট পেতে নিলাম ডাকা হয়।
প্রাথমিক দর রাখা হয়েছিল এক হাজার টাকা। পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, ২৬ জন অংশ নিয়েছেন সেই নিলামে। শুরু থেকেই দর চড়তে শুরু করে। শেষপর্যন্ত সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১ কোটি ১২ লক্ষ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা। এই দাম দিতে চেয়েছেন দেশরাজ নামে এক যুবক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর হেঁকেছিলেন সঞ্জয় কুমার নামে আর একজন। ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৫০০ টাকা দর দিয়েছিলেন ধর্মবীর নামে একজন। কিন্তু শখ পূরণ করতে গিয়ে নয়া বিপত্তি। আয়কর দপ্তরের নজরে পড়েছেন তাঁরা। এত টাকার উৎস কী তাঁদের, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসনও।
পরিবহণ দপ্তরের অধিকর্তা অনুপম কাশ্যপ জানিয়েছেন, পছন্দের ওই নম্বর প্লেট পেতে নিলাম ডেকেছিল কোটখাই রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড লাইসেন্স অথরিটি। শুক্রবার নিলাম শেষ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিলামে সর্বোচ্চ দর প্রদানকারীর হাতে ওই বিশেষ নম্বর প্লেট তুলে দেওয়া হয়নি বলেই জানি। নিলামের ৩০ শতাংশ টাকা অগ্রিম জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গোটা বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, নিলামে সর্বোচ্চ দর হাঁকলেও শেষপর্যন্ত ওই ব্যক্তি যদি ৯৯ সিরিজের ওই বিশেষ নম্বর নিতে না চান, তা হলে আইনগতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই। তবুও আমরা তাঁর ঠিকানা যাচাই করছি। একইসঙ্গে কেন তিনি স্কুটারের নম্বর প্লেট পেতে এত টাকা দর দিলেন, এর পিছনে তাঁর অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবহণ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিমাচলের উপ মুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ দপ্তরের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তারপরই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।