• ‘মমতা দিল্লির কাছে মেরুদণ্ড বিক্রি করেননি’ বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের
    বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • অভিষেক পাল, সাগরদিঘি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে, দিল্লির তাবড় নেতারা মুখ থুবড়ে পড়েছেন। ভারতবর্ষের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, যিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলার মানুষের স্বার্থে জীবন বিপন্ন করে লড়াই করছেন। আত্মসমর্পণ করেননি, মাথা নত করেননি। দিল্লির কাছে মেরুদণ্ড বিক্রি করেননি। রবিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির সভা থেকে এভাবেই হুঙ্কার দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরা বা মেঘালয় যে কোনও একটি রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করবেন বলে আত্মপ্রত্যয়ী সুর শোনা গেল অভিষেকের গলায়। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে দাঁড়িয়ে কথা দিয়ে যাচ্ছি, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মধ্যে যে কোনও একটি রাজ্যে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করেই ছাড়ব।

    এদিন সাগরদিঘির দীঘার মোড়ে দলীয় প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোটপ্রচারে এসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সুর চড়ান অভিষেক। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকেও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ১০০দিনের কাজে ১৭ লক্ষ মানুষের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে বিজেপি সরকার। কংগ্রেসের বাবুদের রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি। বাংলা আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ প্রাপকের টাকা ইচ্ছাকৃতভাবে গায়ের জোরে আটকে রেখে দিয়েছে। অধীর চৌধুরীকে সংসদে একদিনও প্রশ্ন করতে দেখা যায়নি, কেন বাংলার টাকা আটকে রাখা হল। এনআরসি নিয়ে ২০১৯ সালে যখন আইন পাশ হল, তখন কাউকে রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি। একমাত্র রাস্তায় নেমেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে। আমরা বলেছিলাম, যতদিন বাংলায় তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এনআরসি করতে দেব না। বৈচিত্রের মধ্যে একতার মন্ত্রে বিশ্বাস করি আমরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু কথা রেখেছেন। এনআরসি আটকে রাখার ক্ষমতা আমাদের আছে। কংগ্রেস কোথাও এনআরসির বিরুদ্ধে লড়াই করেনি। আমরা সীমিত ক্ষমতা নিয়ে প্রতিটি জায়গায় লড়েছি। 

    বিভিন্ন রাজ্যে পদ্ম শিবিরকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলার শাসকদল। ত্রিপুরায় ভোটে লড়াই করে আশাবাদী জোড়াফুল শিবির। এই প্রথম মেঘালয়ে পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়ছে তৃণমূল। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সেখানে ভোটগ্রহণ। সাগরদিঘি কেন্দ্রের উপনির্বাচনও ওই একই দিনে। উপনির্বাচনের শেষবেলায় ভোটপ্রচারে এসে অভিষেকের গলায় শোনা গেল চ্যালেঞ্জর সুর। ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের কুর্সি থেকে বিজেপিকে হটাতে পারবে তৃণমূল, এমনটাই মনে করেন তিনি। এদিন সভামঞ্চ থেকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিজয়রথ ঠেকানোর কথা বলেন তিনি।  

    অভিষেক আরও বলেন, তৃণমূলের হাত শক্তিশালী করতে হবে। বাংলার মাটিতে এখন আর তৃণমূল সীমিত নেই। আমরা ত্রিপুরা, মেঘালয়ে নির্বাচনে লড়ছি। দায়িত্ব নিয়ে যখন ঢুকেছি, বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, কাঁধে জোড়াফুলের পতাকা, ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তের চক্রব্যুহকে চূর্ণবিচূর্ণ করে জোড়াফুল ফুটিয়ে ফিরব। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই যাতে আরও শক্তিশালী হয়, সেটাও সুনিশ্চিত করতে হবে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)