• আড়াই মাসে এআরআই আক্রান্ত ১২ হাজার ৩৪৩, অ্যাডিনোতে মৃত ১৯ শিশুর ১৩ জনই কোমর্বিড ১৩ মার্চ ২০২৩ ২১:৫৭
    আনন্দবাজার | ১৪ মার্চ ২০২৩
  • শিশুদের শ্বাসনালীতে সংক্রমণ (অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন বা এআরআই) চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। গত আড়াই মাসে ১২ হাজার ৩৪৩টি শিশু এআরআই নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জনেরই কোমর্বিডিটি ছিল।

    গত সপ্তাহে শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে প্রতি দিন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৮০০ শিশুকে। চলতি সপ্তাহে সেই সংখ্যা কমেছে। এখন রোজ হাসপাতালে শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি করানো হচ্ছে ৬০০ জনকে। পরিসংখ্যান বলছে, অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনই অন্য অসুখে আক্রান্ত ছিল। জন্মের সময় ওজন কম ছিল ৩ জনের। ২ জনের ফুসফুসে সমস্যা ছিল সংক্রমণের আগে থেকেই। মৃতদের মধ্যে ৩ জনের হার্টের সমস্যা ছিল। জিনগত সমস্যা ছিল ২টি শিশুর। ২ জনের পেশির সমস্যা এবং ১টি শিশুর অন্য জটিল সমস্যা ছিল।

    এআরআই মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে রাজ্য সরকার। সেই টাস্ক ফোর্সের মাথায় রয়েছেন মুখ্যসচিব। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি ওই টাস্ক ফোর্স প্রতি দিন পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। সেই বুঝে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ১৩ মার্চ প্রথম বার বৈঠকে বসেছিল টাস্ক ফোর্স। সেখানে প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

    সেই পদক্ষেপগুলি কী কী? বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। এআরআই নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজে এগিয়ে আসবে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব পেডিয়াট্রিশিয়ানস (আইএপি)। সাধারণ মানুষকে সচেতন এবং শিশুদের প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। সরকারি পোর্টাল এবং সমাজমাধ্যমের দ্বারাও সাধারণ মানুষকে এআরআই নিয়ে সচেতন করা হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসুস্থ শিশুদের খোঁজ নেবেন আশাকর্মীরা, যাতে প্রাথমিক স্তরেই সংক্রমণ নির্ণয় করা যায়। হাসপাতালে সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলছে কি না, তা পরখ করে দেখবেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। বেসরকারি হাসপাতালেও নজর দেওয়া হবে। নিয়ম মেনে সেখানে চিকিৎসা হচ্ছে কি না, তা-ও দেখা হবে।

    সরকারি হাসপাতালে জেনারেল পেডিয়াট্রিক শয্যার সংখ্যা পাঁচ হাজার। তার মধ্যে ২,৭৬৩ শয্যায় ভর্তি রয়েছে শিশুরা। ২,২৩৭ শয্যা এখনও খালি। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিআইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৬৫৪। তার মধ্যে ৩৮৯টি শয্যা খালি রয়েছে। নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ)-এ শয্যার সংখ্যা রাজ্যে ২২৩। তার মধ্যে ৪৮টি খালি রয়েছে। স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ)-এ শয্যার সংখ্যা ১,৭৪৮টি। তার মধ্যে ৫৩৭টি শয্যা খালি রয়েছে। ১,২১১টি শয্যাতেই ভর্তি রয়েছে রোগী।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)