তদন্তকারীদের অনুমান, চাকরিপ্রার্থীদের বেআইনি ভাবে নিয়োগ করানোর বিনিময়েই ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত, বেসরকারি বিএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে এই টাকা তুলেছিলেন কুন্তল। তারপর সেই অর্থ তুলে দেওয়া হয় শান্তনুর হাতে। ইডি এ-ও দাবি করে যে, তদন্তে দেখা গিয়েছে কুন্তল এবং শান্তনু রীতিমতো বোঝাপড়া করেই নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। আদালতে শান্তনুর জামিন-আর্জির বিরোধিতা করে ইডির তরফে যে যে যুক্তি পেশ করা হয়, তাতে এই ১ কোটি টাকার প্রসঙ্গও ছিল।
ইডির তরফে আদালতে আগেই তাপসের বয়ান তুলে ধরে জানানো হয়, ২০১৬ সালে একটি আবাসনে শান্তনুর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাপসের। শান্তনুর উপর ভরসা রেখেই কুন্তলকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তাপস। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে বেশ কিছু বড় মাথা থাকলেও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সেই সব প্রভাবশালীদের যোগসূত্র ছিলেন এই শান্তনু, কুন্তলরা। ইডি এ-ও দাবি করে যে, তাদের তদন্তে জানা গিয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কুন্তল তা তুলে দিতেন শান্তনুর হাতে। ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল যে, শান্তনুর বাড়িতে থাকা তালিকায় এমন ৭ জনের নাম রয়েছে, যাঁরা পরে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন।