• রাস্তাঘাট, কালভার্ট হলেও সর্বত্র পানীয় জল মিলছে না লতাপোতা পঞ্চায়েতে
    বর্তমান | ১৪ মার্চ ২০২৩
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: গত পাঁচবছরে প্রচুর কংক্রিটের রাস্তা, কালভার্ট করা হয়েছে। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পানীয় জল প্রকল্প সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করে নজর কেড়েছে মাথাভাঙা-২ ব্লকের লতাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে বেশ কয়েক জায়গায় জলের রিজার্ভার তৈরির জন্য সমীক্ষাও করা হয়েছে। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, পানীয় জলের সবক’টি প্রকল্প চালু হলে সেই সমস্যা থাকবে না। 

    গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস লাগোয়া কুশিয়ারবাড়ি বাজারের উন্নয়নে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়েছে। কুশিয়ারবাড়ি হলেশ্বর হাইস্কুলের পাশ দিয়ে ঘোকসাডাঙা যাওয়ার রাস্তায় বড় কালর্ভাট তৈরির কাজ সম্প্রতি শেষ করা হয়েছে। ওই কালর্ভাটটি তৈরির দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছিলেন বাসিন্দারা। তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, উন্নয়নে বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যদের এলাকাকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, গত পাঁচবছরের উন্নয়ন নিয়ে কিছুই বলার নেই বিজেপির। কিছু উন্নয়ন হয়েছে মেনে নিলেও সরকারি প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের পঞ্চায়েত সদস্যদের। 

    কুশিয়ারবাড়িতে পিএইচই’র একটি পানীয় জল প্রকল্প রয়েছে। একটি রির্জাভার দিয়ে কুশিয়ারবাড়ি ও লতাপোতা গ্রামে পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে। যদিও কিছু এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমাদের গ্রামে পানীয় জলের কল থাকলেও জল পাই না। এ ব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পিএইচই’কে জানিয়েও কাজ হয়নি। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে সমীক্ষা হয়েছে সাউদের বস গ্রামে। ওই এলাকায় পানীয় জলের প্রকল্প হলে উপকৃত হবেন নবীনের দোলা, দক্ষিণ পুঁটিমারি, দ্বারিকামারির বাসিন্দারা। নবীনের দোলা গ্রামের বাসিন্দা শ্রীবাস সরকার বলেন, আমরা বহুদিন ধরে পানীয় জলের দাবি জানাচ্ছি, কিন্তু আজ পর্যন্ত পানীয় জল প্রকল্প হয়নি। এলাকার রাস্তা সহ বেশকিছু উন্নয়ন হয়েছে। দ্বারিকামারির বাসিন্দা প্রমথ বর্মন বলেন, পানীয় জলের সমস্যার সঙ্গে পাড়ায় ঢোকার কয়েকটি রাস্তা কংক্রিটের করার দাবি জানানো হলেও কাজ হয়নি। তবে সামগ্রিক ভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ভালো কাজ করেছে।  

    লতাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদা বর্মন বলেন, গত পাঁচ বছরে এলাকার উন্নয়নে আমরা প্রচুর কাজ করেছি। বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যদের এলাকাকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বড় একটি রির্জাভার করার পরিকল্পনা রয়েছে সাউদের বস গ্রামে। একাধিক জায়গায় রাস্তা, কালভার্ট করা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে ঢোকার রাস্তা কংক্রিটের করার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তা করা সম্ভব হয়নি। কুশিয়ারবাড়ি বাজার সংস্কার করেছি আমরা। আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ আমাদেরকেই ফের জিতিয়ে আনবে। বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুজিত বর্মন বলেন, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। তবে ওরা কেন্দ্রীয় প্রকল্প যেমন রাজ্যের নাম দিয়ে করেছে, তেমনই এদের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।   আমাদের কাজ করতে দেওয়া হয় না। মানুষ এসব দেখছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)