• আজ শুরু উচ্চ মাধ্যমিক, পরীক্ষার্থী ৫৯ হাজার চাকরি বাতিলের জের কর্মী সঙ্কটে পরীক্ষাকেন্দ্র
    বর্তমান | ১৪ মার্চ ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: আজ, মঙ্গলবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে নদীয়া জেলার প্রায় ৫৯ হাজার পরীক্ষার্থী। জেলার ১৫০ টির বেশি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষা হবে। সেইমতো সোমবার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে চূড়ান্ত তৎপরতা ছিল। স্কুলে স্কুলে বেঞ্চে রোল নম্বর বসানোর কাজ‌ চলে।‌ গতবারের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশ কিছুটা বেশি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এবারও ছাত্রের তুলনায় চার হাজারের বেশি ছাত্রী পরীক্ষায় বসছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার‌ জন্য দু’জন গ্রুপ ডি কর্মীকে অন্য স্কুল‌ থেকে আনা হচ্ছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে করা নিয়ে আশাবাদী প্রশাসন। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পুলিস মোতায়েন থাকবে। পূর্ব রেলের তরফে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য ট্রেনের বাড়তি স্টপেজ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।‌

    নদীয়ার ডিআই(সেকেন্ডারি) দিব্যেন্দু পাল বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য সমস্ত কিছু আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি, কোথাও কোনও সমস্যা হবে না। প্রায় ৫৯ হাজার পড়ুয়া পরীক্ষায় বসছে। ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। 

    উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে। পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।‌ পরীক্ষা কেন্দ্রে সুপার ভাইজার ছাড়া আর কারও কাছেই মোবাইল ফোন থাকবে না। প্রশাসনিক স্তরেও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কোনওরকম সমস্যা হলে দ্রুত তার ব্যবস্থা করা হবে।‌ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনও পরীক্ষার্থী চাইলে ১২টা ৪৫ মিনিটে খাতা দিয়ে চলে যেতে পারে। কিন্তু, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই সময় পরীক্ষা শেষ করে কোনও পরীক্ষার্থী বেরতে চাইলে সে প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরতে পারবে না।‌ তাই পুরো তিন ঘণ্টাই পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে পরীক্ষা দেওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন শিক্ষকরা। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, গতবারের তুলনায় এবার জেলায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। 

    এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৮ হাজার ৮৪৫। যার মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ২৪ হাজার ৫৮৩ ও ছাত্রীর সংখ্যা ২৮ হাজার ২৬২। এবার জেলার ১৫৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে।‌ যার মধ্যে প্রধান ভেন্যুর সংখ্যা ৩৭টি, আর সাব ভেন্যুর সংখ্যা ১১৬টি।  আদালতের নির্দেশে তেহট্টের দু’টি স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছিল‌‌।‌ ওই স্কুলে পরীক্ষার সেন্টার পড়েছে। সেখানে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পাশের স্কুল থেকে গ্রুপ ডি কর্মী আনা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য শিয়ালদহ শাখায় বাড়তি স্টপেজ দিয়েছে পূর্ব রেল। সকালের দিকে কৃষ্ণনগর সিটি-শিয়ালদহ লোকাল ৮টা ২৪ ও ৮টা ৩৫ মিনিটে জগদ্দল ও পলতা স্টেশনে থামবে। বিকেলের দিকে কৃষ্ণনগর সিটি- শিয়ালদহ দু’টি ট্রেন জগদ্দল ও পায়রাডাঙা স্টেশনে থামবে। কৃষ্ণনগর লেডি কারমাইকেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া বর্মন বলেন, শিক্ষকদেরও কেন্দ্রে মোবাইল না নিয়ে আসার কথা  বলা হয়েছে। প্রধান সুপারভাইজার প্রয়োজন পড়লে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। প্রশ্নপত্র নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হতে গেলে পরীক্ষার্থীকে পুরো সময়টাই সেন্টারে কাটাতে হবে। তবেই সে প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরতে পারবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)