• ৭টি বিশেষ স্পর্শকাতর কেন্দ্রে কড়া নজর উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষা দেবে ৭১ হাজার পড়ুয়া
    বর্তমান | ১৪ মার্চ ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: আজ, মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলায় এবার ৭১ হাজার ৬৬৯জন পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে। মোট ১৩৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। সোমবার প্রতিটি স্কুলে সিট নম্বর লাগানোর জন্য তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিতে তৎপর জেলা প্রশাসন। জেলার সাতটি অতি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রের দিকে নজর রয়েছে শিক্ষাদপ্তরের। কেন্দ্রগুলিতে অতিরিক্ত পুলিসি পাহারার ব্যবস্থা থাকছে।  উল্লেখযোগ্যভাবে, গত বছরের তুলনায় এবছর জেলায় ১০ হাজার ৪১৮জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এবারও ছাত্রদের থেকে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। এবছর ৪৪ হাজার ৫৭৪ জন ছাত্রী পরীক্ষায় বসছেন। সেখানে ছাত্রের সংখ্যা মাত্র ২৭ হাজার ১০৫জন।  

    জেলা শিক্ষাভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, অবাঞ্ছিত জমায়েত ও টোকাটুকির ঘটনা এড়াতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রের ১০০মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা লাগু করছে জেলা প্রশাসন। পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই বিধি লাগু থাকবে। এছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে সমস্ত জেরক্স দোকান সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার ৭১টি মূল পরীক্ষাকেন্দ্র ও ৬৭টি সাব সেন্টারে পরীক্ষা হবে। ছ’টি পরীক্ষাকেন্দ্রে শুধু মেয়েরাই পরীক্ষা দেবে। জেলায় সাতটি অতি স্পর্শকাতর সেন্টার আছে। সেগুলির দিকে আমাদের বাড়তি নজর থাকছে। সমস্যা এড়াতে সবরকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। 

    গত বছরের চেয়ে এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। গতবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার ২৬১। সেখানে এবার প্রায় ১০ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়েছে। তাই বাড়তি তৎপর শিক্ষা দপ্তর। এবার মোবাইল ফোন নিয়ে যাতে কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে না ঢুকতে পারে সেজন্য দু’বার চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে স্কুলের গেটে অশিক্ষক কর্মীরা ছাত্রছাত্রীদের তল্লাশি করবেন। আবার পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে একবার মোবাইল আছে কিনা খতিয়ে দেখবেন শিক্ষকরা। প্রতিটি স্কুলের গেটে থাকবে পুলিস। শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের সাহায্য করবেন তাঁরা। সশস্ত্র পুলিসের পাহারায় প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছবে। সেখানে ভেন্যু ইনচার্জ ও সুপারভাইজারের উপস্থিতিতে প্রশ্নপত্র খুলে সরাসরি হলে নিয়ে যাওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে।  সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারে সেজন্য জেলাজুড়ে রাস্তায় বাড়তি পুলিস মোতায়েন থাকছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন সকালে যেভাবে রাস্তাঘাট ফাঁকা রাখা হয়েছিল এদিনও পুলিস একইভাবে তৎপর থাকবে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ও পুলিসের অধিকাকিকরা বৈঠকে বসে পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছেন। প্রায় এক হাজার বাড়তি পুলিস রাস্তায় নামানো হচ্ছে। সকাল থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিদ্যুৎ পরিষেবায় যাতে ঘাটতি না হয় সে দিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)