• দুই জেলায় ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি আজ শুরু উচ্চ মাধ্যমিক
    বর্তমান | ১৪ মার্চ ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান ও আসানসোল: উচ্চমাধ্যমিকেও সংখ্যার নিরিখে দুই বর্ধমানে ছাত্রদের টেক্কা দিল ছাত্রীরা। পূর্ব বর্ধমানে মোট ৪০ হাজার ১৪৭জন পরীক্ষায় বসছে। তারমধ্যে মোট ২৩ হাজার ৫১১জন ছাত্রী রয়েছে। মোট ১০৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। পশ্চিম বর্ধমানে ছাত্রদের তুলনায় প্রায় চার হাজার বেশি ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষ করতে মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকেও বেশকিছু নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নিয়ে ঢোকা যাবে না। অভিভাবকরা এবার পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। অন্যান্য বছর প্রথম পরীক্ষার দিন অভিভাবকরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি পেতেন। উত্তরপত্র ১২টা ৪৫মিনিটের আগে পরীক্ষার্থীরা জমা করতে পারবে না। মোবাইল ফোন নিয়ে কাউকেই হলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এক আধিকারিক বলেন, মাধ্যমিকে বেশ কয়েকটি নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকানো গিয়েছিল। উচ্চমাধ্যমিকেও একই রকম কড়াকড়ি করা হবে। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ই বিভিন্ন স্কুলে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই পরীক্ষাতেও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। শারীরিকভাবে অক্ষম পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে আসতে ছাত্রছাত্রীদের যাতে আসতে অসুবিধা না হয় তারজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    স্বচ্ছভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে রাজ্যে এবারই প্রথম ব্যবহার হতে চলেছে মেটাল ডিটেক্টর। জানা গিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার যেসব সেন্টারগুলি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, সেই কেন্দ্রের প্রবেশপথে থাকবে মেটাল ডিটেক্টর মেশিন। মেটাল ডিটেক্টর মেশিনের নজরদারি পার করেই পড়ুয়াদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে হবে। যাতে কোনওভাবেই পড়ুয়ারা গোপনে কোনও সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে না পারে। পরীক্ষা কেন্দ্রে অসৎ উপায় এড়ানোর জন্য এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।

    পশ্চিম বর্ধমান জেলাজুড়েও ব্যস্ততা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যদপ্তর, পুলিসের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৯১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হতে চলেছে। তার মধ্যে আসানসোল মহকুমায় ৫৬টি ও দুর্গাপুর মহকুমায় ৩৫টি সেন্টার রয়েছে। এবার ছাত্রর থেকে ছাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট ১৬হাজার ১৭২ জন ছাত্রী ও ১২ হাজার ১২ জন ছাত্র মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮ হাজার ১৪৪।

    উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পশ্চিম বর্ধমানের কনভেনার রাজীব মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার প্রথম স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার হতে চলেছে। যদিও আমাদের জেলায় একটিও স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্র নেই। ইতিমধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়ে গিয়েছে। কাউন্সিলের নিয়ম মেনেই জেলায় পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)