• কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘অতি সক্রিয়তা’ রুখতে প্রস্তাব পাশ সিবিআইয়ের আইনসঙ্গত অস্তিত্ব নিয়েই বিধানসভায় প্রশ্ন চন্দ্রিমার
    বর্তমান | ১৪ মার্চ ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আইনসঙ্গত অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সোমবার বিধানসভায় ইডি ও সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির ‘অতি সক্রিয়তা’র বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হয়। সেই প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রিমাদেবী। 

    গত ১০ মার্চ পঞ্চায়েত দপ্তরের বাজেট সংক্রান্ত আলোচনার সময় বিরোধী দলনেতা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পুরে দেওয়ার হুমকি দেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘অতি সক্রিয়তা’র বিরোধিতায় প্রস্তাব আনা হয়। চন্দ্রিমাদেবী বলেন, গুয়াহাটি হাইকোর্টের একটি রায়ে বলা হয়েছিল, সিবিআই সংবিধান ও আইনসঙ্গত নয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা হয়। সেখানে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ২০১৪ সাসে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর সেই মামলার শুনানি হল না কেন? তাঁর অভিযোগ, ওই স্থগিতাদেশ সামনে রেখে সিবিআইকে দেদার অপব্যবহার করছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে তিনি ইডির কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ইডি কি আদৌ পদ্ধতি মেনে তাদের কাজ করছে? তারা যখন কোনও তদন্ত করছে বা কোনও অভিযুক্তকে প্রশ্ন করছে, সেই তথ্য বাইরে বেরিয়ে আসছে কীভাবে? আমরা জানি না, সেই সব তথ্য সত্যি না মিথ্যে। তদন্তে পাওয়া তথ্য বলে যা প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলি অস্বীকারও করছে না ইডি। তারা হয় এই খবর অস্বীকার করুক, অথবা স্বীকার করে নিক যে তথ্য ফাঁস হচ্ছে। চন্দ্রিমাদেবীর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসকে বিব্রত করতেই সত্যের সন্ধানের নামে এসব করা হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে আমাদের মন্ত্রীকে জেলে ভরার হুমকি দিচ্ছেন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে, তাতে প্রশ্ন উঠছে, আমরা কি আদৌ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি! আমরা কি আইনসভার সদস্য! উল্লেখ্য, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং বিরোধী দলনেতার বিরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব আনা হলেও এদিন আলোচনার সময় তাঁরা কেউই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না। 

    প্রস্তাবের উপর আলোচনায় বিধায়ক তাপস রায় বলেন, এর আগে বিধানসভাতেই বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণ কল্যাণীকে আয়কর হানার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেন্ট্রাল এজেন্সি কি বিরোধী দলনেতার পৈতৃক সম্পত্তি? এসব করে কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার? তাঁর দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এবং কেন্দ্রে বিরোধীদের ফিনিশ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে। তেজস্বী যাদব, কেসিআর ও তাঁর কন্যা কবিতা, স্ট্যালিন, রাবড়িদেবী, সিশোদিয়া ও মমতা সহ সবাই অসৎ? আর কেন্দ্রীয় সরকারের সবাই সাধু?
  • Link to this news (বর্তমান)