• বসন্তে আমন্ড ফুলের সমারোহে অপরূপ ভূস্বর্গের ‘বাদামওয়াড়ি’ পর্যটকদের পাশাপাশি ভিড় ফ্যাশন ডিজাইনার, ছবি নির্মাতাদেরও
    বর্তমান | ১৪ মার্চ ২০২৩
  • ফিরদৌস হাসান, শ্রীনগর: ঠিক যে যে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য কাশ্মীরকে ‘ভূস্বর্গ’ বলা হয়, তার অন্যতম শ্রীনগরের ‘বাদামওয়াড়ি’ (আমন্ডের বাগান)। ফি বছর বসন্তের শুরুতে কোহ-ই-মারান পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই বাগানের প্রাকৃতিক শোভা বহুগুণ বেড়ে যায়। সৌজন্যে আমন্ড ফুলের সমাহার। হাল্কা গোলাপি- সাদা ফুলে ভরে যায় বাগানের দেড় হাজার আমন্ড গাছ। সেই ফুলের সমারোহের মাঝে বাগানে দাঁড়িয়ে সামনের জাবারওয়ান পর্বতশৃঙ্গকে যেন আরও বেশি মোহময় লাগে। 

    এবছর বসন্তের শুরুতেই ‘বাদামওয়াড়ি’-তে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন মানুষ। বাগানমুখী রাস্তায় দিনভর ব্যস্ত থাকছে ট্রাফিক। তবে শুধু পর্যটকরাই নন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ফ্যাশন ডিজাইনারদের কাছেও ‘নয়নের মণি’ হয়ে উঠেছে ৩৭.৫ একরের এই আমন্ড বাগান। ফুলে ভরে ওঠা একটি আমন্ড গাছের তলায় এক মডেলের ছবি তুলছিলেন সামিনা। পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার তরুণীর কথায়, ‘আউটডোর শ্যুটের জন্য বাদামওয়াড়ি আমার প্রথম পছন্দ। এখানে এসে ছবি তুললে আমার তৈরি পোশাকগুলিকে আরও সুন্দর দেখতে লাগে।’ কাশ্মীরের উদ্যান বিভাগের ডিরেক্টর ফারুখ আহমেদ রাঠের জানান, বাগানে আমন্ড ছাড়াও অন্যান্য ফুলের গাছও রয়েছে। কিন্তু, বসন্তের শুরুতে সবার আগে আমন্ড গাছেই ফুল আসে। বর্তমানে গোটা বাগানের মাত্র ২৫ শতাংশ ফুলই ফুটেছে। আগামী এক-দু’সপ্তাহে সব গাছেই ফুল ফুটে যাবে। ফারুখের কথায়, ‘চতুর্দশ শতকে এই বাগান তৈরি হয়েছিল। ২০০৮ সালে সার্বিক সংস্কার করে সাধারণের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়। এই বাদামওয়াড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। সেটাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাই করছি আমরা।’

    গতবছর লোকগানের শিল্পীদের এনে বিশেষ ফেস্টিভ্যাল হয়েছিল বাদামওয়াড়ি-তে। সবমিলিয়ে এসেছিলেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ। এবারও আয়োজনের কমতি রাখছে না উদ্যান বিভাগ। ফলে এবার আরও বেশি জনতা বাগানে আসবেন বলেই আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
  • Link to this news (বর্তমান)