• প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর স্থিতাবস্থা বদলানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন রিপোর্ট বিদেশ মন্ত্রকের
    বর্তমান | ১৪ মার্চ ২০২৩
  • নয়াদিল্লি: চীন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আর এর জন্য চীনই দায়ী। দুই দেশের সীমান্ত উত্তেজনা প্রসঙ্গে এই রিপোর্ট দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এখনও একতরফাভাবে সীমান্তে উত্তেজনা জিইয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। চীন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সোমবার ২০২১-’২২ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিদেশ মন্ত্রক। সেখানেই লালফৌজের গতিবিধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই রিপোর্ট তৈরি করেছে বিদেশ মন্ত্রকের অধীনস্থ পলিসি প্ল্যানিং ডিভিশন। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সীমান্তে স্থিতাবস্থা নষ্ট করতেই চীন একতরফাভাবে এই কাজ করেছে। তবে ভারতীয় সেনাও যোগ্য জবাব দিয়েছে। চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের জটিলতার কথা রিপোর্টে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই জটিলতা কাটানোর সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশই। সীমান্ত সমস্যা মেটাতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। লাদাখ সংঘর্ষের পরই সেনা ও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা শুরু করে চীন ও ভারত। সীমান্ত নিয়ে বিবাদ না মেটা পর্যন্ত এই আলোচনা চলবে। এদিকে, ভারত ও চীনের মতো দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। আমেরিকার বার্ষিক থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধ শুরু হলে আমেরিকার স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)