• চাপড়ার বড় আন্দুলিয়ার হিন্দু বারোয়ারি সমিতির দুর্গাপুজো হয়ে ওঠে মিলনক্ষেত্র
    বর্তমান | ০২ অক্টোবর ২০২২
  • সমীর রুদ্র, চাপড়া: সাবেকিয়ানা ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে প্রায় ১৫০বছর অতিক্রম করল চাপড়ার বড় আন্দুলিয়ার হিন্দু বারোয়ারি সমিতির দুর্গাপুজো। জাঁকজমক নয়, রীতি ও নিষ্ঠা মেনে পুজোর আয়োজন করায় উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য। বড় আন্দুলিয়া তথা পার্শ্ববর্তী এলাকার বারোয়ারি পুজোর মধ্যে সব থেকে প্রাচীন বড় আন্দুলিয়া হিন্দু বারোয়ারি সমিতির দুর্গাপুজো। আগে ওই এলাকায় শুধুমাত্র একটিই দুর্গাপুজো হতো। তাকে ঘিরে আনন্দে মেতে উঠতেন আশেপাশের গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দা। এখন এলাকায় পুজোর সংখ্যা বাড়লেও আনন্দের প্রাণকেন্দ্র এই পুজো। জলঙ্গি নদীর তীরে বারোয়ারির নিজস্ব মন্দিরে পুজো হয়। এবার দ্বিতীয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রী এই পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন।

    পুজোর দিনগুলিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। এছাড়াও থাকে সমাজ সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও প্রসাদ বিলি। মণ্ডপ চত্বরে বসে মেলা। তবে এই পুজোর মূল আকর্ষণ সন্ধ্যা আরতি। দর্শনার্থীরা সমস্ত মণ্ডপ ঘুরে এসে এই পুজো প্রাঙ্গণে সময় কাটান। সন্ধ‍্যা আরতিতে অংশগ্রহণ করেন। মেলার দোকানে কেনাকাটার পাশাপাশি তাঁরা খাওয়াদাওয়াও করেন। পুজোর দিনগুলিতে সর্বধর্মের মানুষের মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয় এই পুজো প্রাঙ্গণ। দশমীতে প্রতিমার পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও নৌকায় ওঠেন। জলঙ্গি নদী বক্ষে নৌকাবিহার শেষে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।

    পুজো কমিটির সম্পাদক শোভন বিশ্বাস বলেন, আমাদের পুজোর মূল আকর্ষণ সাবেকিয়ানা ও ঐতিহ্য। সাবেকি প্রথা মেনে পুজোর আয়োজনের পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত নৌকায় চেপে প্রতিমা বিসর্জন হয়। সমস্ত ধর্ম ও বর্ণের মানুষ পুজো প্রাঙ্গণে এসে আনন্দে মেতে ওঠেন।
  • Link to this news (বর্তমান)