ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এক অদ্ভূত ভার্চুয়াল প্রেম দেখা গিয়েছিল সম্প্রতি। মনিটরের এক স্ক্রিনে ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও অপর স্ক্রিনে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একেবারে হাত দিয়ে লাভ চিহ্ন দেখিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে নিজের ঠোঁটে হাত ছুঁয়েছিলেন অর্পিতা। সেই ভার্চুয়াল প্রেম দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল বাংলা। যার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা, তিনিই অবলীলায় ‘প্রেমলীলা’ করছেন প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে, আর রাস্তায় বসে চোখের জল ফেলছেন বঞ্চিত কর্মপ্রার্থীরা! তবে অর্পিতার পাড়ার লোকজন অবশ্য অর্পিতা ও পার্থকে মামা ও ভাগ্নী বলেই চিনতেন। কিন্তু সেই মামা আদালতে এভাবে লাভ সাইন দেখাবেন এটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না অনেকেই।
তবে এবার এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মা মিনতি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে সূত্রের খবর, সংবাদমাধ্যমে সব দিক নজরে পড়েছে অর্পিতার মার।
তবে সরাসরি তিনি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এদিন তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি বারো মাস ওষুধ খাই। আমার শরীর ভালো নেই। আদালতে মামলা চলছে। যা হওয়ার সেখানে হবে। আমার আর এসব ভালো লাগছে না। আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।
একে অসুস্থ শরীর। তার উপর একমাত্র অবলম্বন মেয়ে বর্তমানে জেলে। এনিয়ে স্বাভাবিক দুশ্চিন্তা রয়েছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে আর এনিয়ে মুখ খুলতে চান না তিনি।
এদিকে আপাতত ভরসা বলতে প্রতিবেশীরাই। তারাই রাত বিরেতে পাশে থাকেন। একলা বৃদ্ধার পাশে থাকেন তারাই।
রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। বেলঘরিয়াতেই তাদের আসল বাড়ি। তবে কলকাতার ফ্ল্যাটেই তিনি থাকতেন। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। কীভাবে এই টাকা এল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে সম্প্রতি সেই পার্থ-অর্পিতার মধ্য়ে দেখা হয়েছিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে। আর তাতেই একেবারে চূড়ান্ত খুনসুটি তাদের মধ্য়ে। তবে তা নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না অর্পিতার মা।