• দেশের আট শহরে শুরু ৫জি পরিষেবা
    বর্তমান | ০২ অক্টোবর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: অবশেষে নতুন যুগের সূচনা! ভারতে শুরু হয়ে গেল ৫জি পরিষেবা। শনিবার দিল্লির প্রগতি ময়দানে আয়োজিত ইন্ডিয়ান মোবাইল কংগ্রেসে এই নতুন প্রযুক্তির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই এয়ারটেল ৫জি চালুর কথা ঘোষণা করে দিল। ভারতী এয়ারটেল টেলিকম পরিষেবা সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন, এদিন থেকে দেশের আটটি শহরে এই পরিষেবা মিলবে। তার মধ্যে অন্যতম বাংলার শিলিগুড়ি। তালিকায় রয়েছে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং মোদির নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীও। জিও এবং ভোডাফোনের ৫জি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে চলতি বছরেই। মোদি বিষয়টিকে শতাব্দীর বিপ্লব আখ্যা দিয়েছেন। এদিন ওই সম্মেলন থেকেই ৫জির সাহায্যে সুদূর ইউরোপে একটি গাড়ি চালান প্রধানমন্ত্রী। এরিকসনের বুথে তিনি একটি স্ক্রিনের সামনে লাগানো স্টিয়ারিংয়ে বসেন। আর তাঁর হাতের মোচড়েই সুইডেনে গাড়িটি চলছিল। শুধু তাই নয়, ‘জিও গ্লাস’-এর সাহায্যে তিনি মিক্সড রিয়েলিটির অভিজ্ঞতাও নেন। 

    দেশে ডিজিটাল ও টেলিকম বিপ্লব যে তাঁর হাত ধরেই এসেছে, এদিন সরাসরি সেই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ইন্টারনেটকে গরিবের আয়ত্তে নিয়ে এসেছে তাঁর সরকার। আগে ১ জিবি ডেটা পেতে ৩০০ টাকা খরচ হতো। সেখানে এখন ১ জিবি ডেটা ১০ টাকায় পাওয়া যায়। যে কোনও সব্জি বা পণ্যের দোকানে গেলেও আজকাল ক্যাশের পরিবর্তে অনলাইন চাওয়া হয়। যদিও সেই সব্জি বা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।

    দেশের আমদানি বাণিজ্য এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। উদ্বেগে সরকার ও অর্থনৈতিক মহল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর অবস্থানে অনড়। এদিনও তিনি বলেছেন, আত্মনির্ভর ভারত নিয়ে অনেকে ব্যঙ্গ করেছে। কিন্তু দেশ আত্মনির্ভরতায় অনেক এগিয়ে গিয়েছে, তা আজ প্রমাণিত। ২০১৪ সালে একটিও মোবাইল ফোন ভারত থেকে রপ্তানি হতো না। সেখানে আজ বিদেশে যায় হাজার হাজার কোটি টাকার মোবাইল ফোন। ২০১৪ সালে ভারতে মাত্র দু’টি মোবাইল উৎপাদন কেন্দ্র ছিল। আজ সংখ্যাটা ২০০-এ দাঁড়িয়েছে। সুতরাং সর্বক্ষেত্রেই ভারত মেক ইন ইন্ডিয়াকে প্রতিষ্ঠা করছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে ভারতের আমদানির পরিমাণ যে লাগাতার রপ্তানির থেকে বেড়ে চলেছে, সেই পরিসংখ্যান বৃহস্পতিবারই প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাণিজ্য ঘাটতি জিডিপির ২ শতাংশের নীচে থাকার টার্গেট ছিল। কিন্তু সর্বশেষ পরিসংখ্যানে সেটি প্রায় ৩ শতাংশের কাছে। এখনও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্ষেত্রে আমদানি বাণিজ্যের উপরই নির্ভরশীল ভারত। কিন্তু মোদির দাবি, আত্মনির্ভর ভারতের কারণেই ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম কমে চলেছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)