অতীশ সেন, বানারহাট: 'লেপার্ড ক্যাট' দেখে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াল ধূপগুড়িতে।
শনিবার সকালে ধূপগুড়ি পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের রায়পাড়া এলাকার একটি কাঁঠাল গাছের মগডালে চিতাবাঘের বাচ্চার মতো চেহারার একটি জন্তুকে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি অতিউৎসাহী প্রচুর মানুষ বাঘ দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড়ও জমান। প্রসঙ্গত, প্রায় এক বছর আগে ধূপগুড়ি শহরেই ঢুকে পড়েছিল একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। সেইবার শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বসাকপাড়া এলাকায় এক গৃহস্থের বাড়ির উঁচু জামগাছের মগডালে চিতাবাঘটি আশ্রয় নিয়েছিল। দমকলের কর্মীরা বহু চেষ্টাতেও সেটিকে কাবু করতে না পারায়, পরবর্তীতে বনদপ্তরের কর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে চিতাবাঘটিকে জালবন্দি করে ঘটনাস্থল থেকে সুস্থভাবে উদ্ধার করেছিলেন। ফলে বাসিন্দারা এবারও জন্তুটিকে দেখে সেটিকে চিতাবাঘের শাবক ভেবে আশেপাশে মা চিতাবাঘের ঘুরে বেড়ানোর আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বনদপ্তরের বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়ার্ড এবং ধূপগুড়ি থানার পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা। বনদপ্তরের কর্মীরা ভিড় সামাল দিয়ে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর জন্তুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। জন্তুটিকে গাছ থেকে নামিয়ে আনার পর বনকর্মীরা জানান - সেটি চিতাবাঘের শাবক নয়, বরং অনেকটা তেমনই দেখতে একটি পূর্ণবয়স্ক 'লেপার্ড ক্যাট'। বাঘ দেখতে এসে বেড়ালের দেখা পাওয়ায় উৎসাহী জনতা খানিকটা হতোদ্যম যেমন হন, তেমনই আশেপাশে মা চিতাবাঘের ঘুরে বেড়ানোর আশঙ্কা দূর হওয়ায় তাঁরা খানিকটা হাঁফ ছেড়েও বাঁচেন।
বনদপ্তরের বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়ার্ডের সূত্রে জানা গিয়েছে - 'এশিয়ান লেপার্ড ক্যাট' প্রজাতির জন্তুটি দেখতে অনেকটা চিতাবাঘের শাবকের মতো হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। জন্তুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকায় এদিন বিকেলে সেটিকে মোরাঘাট জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।