• 'দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করা হবে...', সুর চড়ালেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা
    এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৩
  • North 24 Parganas News : দুর্নীতির ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলবে তৃণমূল কংগ্রেস। গত শুক্রবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির বৈঠকে তেমনটাই নির্ধারিত হয়। সেই সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেই আরও কিছুটা সুর চড়িয়ে কর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের বুদ্ধিজীবীর মঞ্চের সভাপতি ওয়ায়েজুল হক। ভরা মঞ্চ থেকেই দলের পদাধিকারীকদের উদ্দেশে জানালেন, দলের কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকলে তাঁকে ‘ঘাড় ধাক্কা দিয়ে’ বের করে দেওয়া হবে।

    উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল এক নম্বর ব্লকের সংখ্যালঘু সেল এর উদ্যোগে বসিরহাট রবীন্দ্রভবনে কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভা থেকেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অধ্যাপক তথা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের বুদ্ধিজীবীর মঞ্চের সভাপতি ওয়ায়েজুল হক। তিনি বলেন" দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি সাধারণ মানুষের কথা ভেবে একাধিক উন্নয়ন মূলক প্রকল্প চালু করেছে।

    তার স্বীকৃতি পেয়েছে বিভিন্ন দেশ থেকে। সেইখানে দাঁড়িয়ে যদি দলের নেতা-কর্মীরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে যায়, তাঁদের শুধু বরদাস্ত করা হবে না, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হবে দল থেকে।” উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা দলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার, রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সভাপতি তথা অধ্যাপক অয়ায়েজুল হক, বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক ডক্টর সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সুরজিৎ মিত্র (বাদল) বসিরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি নজরুল হক সহ একাধিক নেতৃবৃন্দ।

    এদিনের সভায় দলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন" আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে ৭৩ হাজার আসনে প্রার্থী দিতে পারবে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি দলগুলি প্রার্থী খুঁজে পাবে না। হয়তো কুড়ি শতাংশ প্রার্থী দিতে পারবে।” তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি যদি পশ্চিমবঙ্গে ১০০ কোটি টাকা হয়ে থাকে তাহলে কেন্দ্রে ১০ লাখ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। আদানি, আম্বানি তাঁরা ব্যাংক লুট করেছে। আদানি এবং মোদি এরা ভাই ভাই।”

    পাশাপাশি, তাঁর দলের কর্মীরা দুর্নীতিতে জড়িত হলে তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, বলেও মত প্রকাশ করেন জয়প্রকাশ। তিনি বলেন, “আমাদের দলে যাঁরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে গিয়েছে, তাঁদের শাস্তি হোক এটা আমরা চাই।” বিরোধী দলগুলিকে একযোগে আক্রমণ করে জয়প্রকাশ বলেন, “বিজেপি কংগ্রেস ও আইএসএফ এরা বিষধর, এরা সংগঠিত হয়ে লড়াই করার চেষ্টা করছে। আর পুরো টাকাটা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার অর্থাৎ বিজেপি। তাই স্বচ্ছতা রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে টিকিটের ব্যাপারে।”
  • Link to this news (এই সময়)