• SSC Scam: পুরসভায় ৫০০০; রাজ্যের প্রায় সব দফতরে নিয়োগেই দুর্নীতি, অয়নের ডেরায় মিলল সূত্র
    ২৪ ঘন্টা | ২১ মার্চ ২০২৩
  • পিয়ালি মিত্র ও বিক্রম দাস: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিঙ্কম্যান অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একে পর এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য় উঠে আসছে। তাঁর বাড়ি থেকে শুধুমাত্র এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড-ওএমআর শিটই নয়, উদ্ধার হয়েছে পুরসভা-সহ অন্যান্য বহু দফতরের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। এসব দেখেই আজ আদালতে ইডি মন্তব্য করেছে, সোনার খনিতে প্রবেশ করেছি আমরা। স্তম্ভিত আমরা।

    আরও পড়ুন-

    সল্টলেকে অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছে পুরসভায় নিয়োগের ৭০টি নথি। উদ্ধার হয়েছে দমকলে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। প্রভাবশালীদের নির্দেশেই ওইসব কাজ করেছেন অয়ন। এমনটাই জানা যাচ্ছে ইডি সূত্রে। প্রভাবশালী যোগেই পুরসভায় বিভিন্ন কাজ পেত অয়ন। অয়ন ও তার স্ত্রীর কোম্পানি ২০১৮-১৯ সালের পুরসভায় নিয়োগ পরীক্ষায় বরাত পেয়েছিল। 

    এদিন ইডি-র তরফে তাদের আইনজীবী বলেন, এই তদন্ত করতে গিয়ে আমরা সোনার খনিতে প্রবেশ করেছি। জানি না কত পরিমাণ সোনা রয়েছে। অয়নের গ্রেফতার পর যে পরিমাণ টাকার লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছে ও যে ধরনের নথি পাওয়া গিয়েছে তা দেখে আমরা স্তম্ভিত। আমরা শুধু শিক্ষা দফতরের দুর্নীতির তদন্ত করছিলাম। এখন দেখছি রাজ্য সরকারের প্রায় সব দফতরে নিয়োগেই দুর্নীতি হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।  প্রায় ৫০০০ অযোগ্য প্রার্থীকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে টাকার বিনিময়ে। গোটা রাজ্যে এই জাল ছড়িয়ে রয়েছে। কুন্তলের গ্রেফতারের পর শান্তনুর নাম পাওয়া গিয়েছে। শান্তনুর মোবাইল থেকে অয়নের কথা জানা যায়। অয়ন শীল ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে সেতুর কাজ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। অয়ন শীল চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অনন্ত ৫০ কোটি টাকা তুলেছেন। সেই টাকা কুন্তলের হাত ঘুরে গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। কৃষ্ণ যেমন অর্জুনকে পথ দেখিয়েছিলেন এখানেও কোনও কৃষ্ণই পারেন দূর্নীতির শিকড়ে যেতে।

    এনিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, পুরসভাগুলিতে খোঁজ নিয়ে দেখুন তো! তৃণমূল করেন না এমন একজনও কেউ চাকরি পেয়েছে? যারা চাকরি পেয়েছে তাদের একশো শতাংশ তৃণমূলের সদস্য।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)