• Mamata in Puri: বাঙালি পর্যটকদের জন্য সুখবর; পুরীতে সৈকত আবাস তৈরি করবে রাজ্য, জমি দেখতে যাচ্ছেন মমতা
    ২৪ ঘন্টা | ২২ মার্চ ২০২৩
  • সুতপা সেন: দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা এবার বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। পুরীতে এবার গেস্ট হাউস গড়তে চলেছে রাজ্য সরকার। বহুদিন পর এতদিনে সেই জমি পেল রাজ্য। দিল্লির বঙ্গভবনের ধাঁচে পুরীতে তৈরি হবে গেস্ট হাউস।

    আরও পড়ুন-

    বছরভর ওড়িশা ও পুরীতে বেড়াতে যান হাজার হাজার বাঙালি পর্যটক। বাংলার গেস্ট হাউস তৈরি হলে তাতে সুবিধে হবে বাঙালি পর্যটকদের। গতকালই ওড়িশা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সেই গেস্ট হাউসের জমি পরির্দশনে যাবেন মমতা। তারপর সেখানে থেকে চলে যাবেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে।

    উল্লেখ্য, গতকালই ওড়িশা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ তাঁর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে সাক্ষাত করা কথা। মমতা বলেছেন, ওই সাক্ষাতের মধ্যে কোনও রাজনীতির ব্যাপার নেই। সবটাই সৌজন্য সাক্ষাতকার।

    মঙ্গলবার ওড়িশা যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে বোমা ফাটিয়েছেন মমতা। এদিন মমতা বলেন, একশো দিনের কাজ, আবাস প্রকল্পের টাকা দেয়নি কেন্দ্র সরকার। এবছরের বাজেটে একশো দিনের কাজে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। বাংলাকে বঞ্চনা করার, বাংলাকে লাঞ্ছনা করার কেন্দ্রীয় সরকারের যে একপেশে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভব তার বিরুদ্ধে ২৯ মার্চ দুপুর বারোটা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ধর্নায় বসব। আম্বেদকর মূর্তির সামনেই বসব। ধর্না শেষ করব ৩০ মার্চ সন্ধেয়। এরপর ব্লকে ব্লকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেব।

    রাজ্যে একদিকে শিক্ষকরা ধর্নায় বসেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে, ডিএর দাবিতে ধর্নায় বসেছেন সরকারি কর্মচারীরা। এরমধ্যে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসার ঘোষণা করায় আগামী সপ্তাহে সরগরম হয়ে উঠবে রাজ্য রাজনীতি। পাশাপাশি ওই ধর্না কর্মসূচির পর আন্দোলনকে ব্লকস্তরে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে উত্তাপ বাড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    এসব কথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই মমতা আজ বলেন, এবার বাজেটে বাংলাকে একশো দিনের কাজে একটা পয়সা দেয়নি। একমাত্র বাংলাকেই কিছু দেওয়া হয়নি। আবাসনেও এক পয়সা দেয়নি। ৫৫ লাখ বাড়ির টাকা পড়ে রয়েছে। ১১ লাখ বাড়ি আমরা করে দিচ্ছি। গ্রামের খারাপ রাস্তা আমরা নিজের টাকায় করছি। কেন্দ্রের কাছ থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা পাওনা রাজ্যের।  এনিয়ে ৬ মাস আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। অমিত শাহকেও বলেছি। চিঠি লেখা হয়েছে। তার পরেও দেখছি বিজেপির কথা কিছু টিম পাঠিয়ে দিচ্ছে। এখন যেন মনে হচ্ছে সিবিআই ডিরেক্টর বিজেপি লোকাল কমিটির প্রেসিডেন্ট। আর ইডিরও প্রেসিডেন্ট হয়ে গিয়েছে ওরা। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)