• পুরীর হোটেল বুক করবেন? সাবধান, খোয়া যেতে পারে লাখ লাখ টাকা
    এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৩
  • বাঙালি পর্যটকদের কাছে বেড়ানোর অন্যতম পছন্দের ঠিকানা পুরী। এবার সেই পুরীতেই হোটেল বুক করতে গিয়ে আর্থিক প্রতারণার শিকার হলেন কলকাতার বাসিন্দা। হোটেল বুকিংয়ের নাম করে মিস এস চৌধুরীর থেকে ৯৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এক প্রতারক। বিপদে পড়ে ওই যুবতী কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হন। সাইবার ক্রাইম বিভাগের তদন্তের জেরে তিনি বেশ খানিকটা টাকাও ফেরত পান। কিন্তু, কী ভাবে ঘটল এই ঘটনা?

    কী ভাবে প্রতারণার শিকার যুবতী?কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরীতে হোটেল বুকিংয়ের জন্য গুগল সার্চ করছিলেন মিস এস চৌধুরী। সেখানেই একটি ফোন নম্বর চোখে পড়ে তাঁর। হোটেলের খোঁজে ওই নম্বরে ফোন করলে অপরপ্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দাবি করেন, সে সংশ্লিষ্ট হোটেলের ম্যানেজার। মিস এস চৌধুরীকে সে জানায় ঘর বুক করতে হলে অগ্রিম ১২ হাজার টাকা পাঠাতে হবে। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে একটি UPI নম্বরও মিস এস চৌধুরীকে পাঠায় সেই ব্যক্তি। তার কথা মতো ১২ হাজার টাকা পাঠিয়েও দেন তিনি।

    টাকা পাঠানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের ওই বাঙালি পর্যটককে ফোন করে হোটেলের ম্যানেজার পরিচয় দেওয়া সেই ব্যক্তি। মিস এস চৌধুরীকে বলা হয়, তাঁর পাঠানো টাকা হোটেলের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। অতএব আরও একবার ১২ হাজার টাকা পাঠাতে হবে তাঁকে। এবার টাকা পাঠানোর জন্য অন্য এক পদ্ধতির কথা জানায় ওই ব্যক্তি। হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে একটি লিংক পাঠিয়ে বলা হয়, সেখানে ক্লিক করে টাকা জমা করতে হবে। সঙ্গে সেই ব্যক্তি এও জানিয়ে দেয়, আগের পাঠানো টাকা যদি ইতিমধ্যে জমা পড়েও গিয়ে থাকে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে কিংবা অ্যাডজাস্ট করে নেওয়া হবে। এরপরই ঘটে চরম বিপত্তি।

    প্রতারেকর পাঠানো লিংকে ক্লিক করতেই সর্বস্বান্ত হয়ে যান মিস এস চৌধুরী। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় ৮৪ হাজার টাকা। ফলে মোট ক্ষতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ৯৬ হাজার টাকায়। তিনি যে প্রতারিত হয়েছেন তা আর বুঝতে বাকি থাকে না ওই যুবতীর। এরপরই দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন তিনি। বিপদে পড়ে প্রথমে মুচিপাড়া থানা, এবং পরে লালবাজারের সাইবার শাখার কাছে অভিযোগ জানান মিস এস চৌধুরী।

    তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখা ওই যুবতীর ব্যাঙ্ক ও প্রাপক ব্যাঙ্ক দুই খতিয়ে দেখে। জানা যায়, দ্বিতীয় ব্যাঙ্কের ঠিকানা উত্তরাখণ্ডে। সাইবার শাখার প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত গত ১৭ মার্চ মোট ৮৮ হাজার ৯০০ টাকা ফেরত পান মিস এস চৌধুরী।
  • Link to this news (এই সময়)