মঙ্গলবার ৫ জন কোভিড রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। মৃতেরা ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং কেরালার বাসিন্দা। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫, ৩০, ৮১৩। দৈনিক কোভিড পজ়িটিভিটির হার ১.০৯ শতাংশ। সাপ্তাহিক হার ০.৯৮ শতাংশ। দেশে এখনও পর্যন্ত ৪.৪৬ কোটি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কোভিড নিয়ে এখনই উদ্বেগের কারণ নেই। টিকাকরণ এবং পরীক্ষার উপর জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত সপ্তাহেই প্রায় চার মাস পরে দেশে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা সাতশো পার করেছিল। গত বুধবার কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৫৪ জন। তার আগে গত নভেম্বর মাসে শেষ কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ৭০০-র ঘরে পৌঁছেছিল। কিন্তু তখন সংক্রমণের হার ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছিল।
শীত থেকে গরম—এই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে প্রতিবছরই অসুস্থতা বাড়ে। কিন্তু গত কয়েক মাসে বাড়তে শুরু করেছে এক ধরনের নাছোড় জ্বর-সর্দিকাশি-শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও। এর পাশাপাশি, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে শিশুরাও। এর মধ্যেই করোনার দৈনিক সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এ দিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, বিদেশি পর্যটকদের শরীরেও করোনার উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে প্রায়ই। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে রাজস্থানে বেড়াতে আসা চার পর্যটকের শরীরে পাওয়া গিয়েছিল করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি।