• Mamata Banerjee Puri Jagannath Mandir : মমতার পুজো দেওয়ার দিনই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বন্ধ পুরীর মন্দির, জোর জল্পনা
    এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৩
  • বুধবার বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Mandir)। এদিকে, এদিনই মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ()। জানা গিয়েছে, এদিন চার ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে মন্দিরের দরজা। ভক্তদের সে সময় প্রবেশ নিষিদ্ধ। মূলত 'বানাকা লাগি' অর্থাৎ বিগ্রহের শৃঙ্গার আচার পালনের জন্যই গর্ভগৃহ বন্ধ করে রাখা হবে। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো দেওয়ার আগে মন্দির কমিটির দর্শন বন্ধের এই ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

    ৪ ঘণ্টা বন্ধ পুরীর মন্দিরজগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার বিশেষ রীতি পালনের জন্য বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শন বন্ধ থাকবে। চৈত্র মাসের প্রতিপদের দিন এই 'বানাকা লাগি' রীতি পালিত হয় পুরীর মন্দিরে। বুধবার প্রতিপদ পড়ায় ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার শৃঙ্গার করা হবে। আর সে কারণেই চার ঘণ্টার জন্য ভক্তদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না জগন্নাথধামে।

    পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবারই ভুবনেশ্বর পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন তিনি। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নেমে মমতা বলেন, "এটা আমার ব্যক্তিগত সফর। বাংলার মানুষের জন্য পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেব। আমি যখনই পুরীতে আসি জগন্নাথ মন্দির দর্শনে যাই। এবারও যাব।" অন্যদিকে, তিনি দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাকে নবীনজি বহুবার বলেছেন সাক্ষাতের জন্য। আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাব। এখানে বিরোধী জোটের বৈঠকের কোনও বিষয় নয়।"

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জগন্নাথধামে বাধাওডিশায় যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে গেলেও ঝটিকা সফরে পুরীর মন্দির দর্শনে যেতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। ২০২০ সালে ভুবনেশ্বরে আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সময়েও পুরী ঘুরে গিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু, ২০১৭ সালে মমতাকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সেবায়েতদের একাংশের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভগবান জগন্নাথের কাজে কী প্রার্থনা করেন সেটাই এখন দেখার। তবে মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ হওয়ার আগেই তিনি দর্শনে যান কি না, সেটাই এখন দেখার।

    'বানাকা লাগি' অনুষ্ঠান কী? 'বানাকা লাগি' (Banaka Lagi Ritual) অথবা 'শ্রীমুখী শৃঙ্গার'-এর জন্য জগন্নাথদেবের গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ রাখা হবে। কোনও দর্শনার্থীকেই বুধবার মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

    কী এই বানাকা লাগি (Banaka Lagi) প্রথা? ওডিশার ঐতিহ্যবাহী পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath Mandir) বছরে সাত থেকে আটবার এই রীতি পালন করা হয়। 'বানাকা লাগি' রীতি অনুযায়ী, নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয় ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাকে। ভগবানের মূর্তিতে শৃঙ্গারের দায়িত্বে থাকেন বিশেষ কয়েকজন সেবায়েত। তাঁদের বলা হয় দত্ত মহাপাত্র। দত্ত মহাপাত্র বর্ণের সেবায়েতরাই কেবলমাত্র গর্ভগৃহে প্রবেশ করার অনুমতি পান। ১২ শতাব্দীর মূর্তিগুলিকে চার ঘণ্টা ধরে শৃঙ্গার করেন এই দত্ত মহাপাত্ররা। শৃঙ্গারের পর গর্ভগৃহে রত্নবিছানার উপর রাখা হবে তিন ভগবানের মূর্তি। ভগবানের মূর্তিসজ্জার জন্য জঙ্গলের চাররকম উপাদান ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে লাল রঙের হরিলতা, হলুদ রঙের হেঙ্গুলা, সাদা রঙের শঙ্খ। এছাড়াও জগন্নাথ দেবের জন্য ব্যবহার করা হয় কালো রং।।
  • Link to this news (এই সময়)