• হাতের নাগালে বিধায়ক, ভুরি ভুরি অভিযোগ জানালেন মহিষাদলবাসী
    এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৩
  • West Bengal News : বিধায়ক ব্যস্ত মানুষ। চাইলেই দেখা করা যায় না, বা হাতের কাছে পাওয়া যায় না। তাই কোনও অভাব অভিযোগ বা অনুরোধের বিষয়ে জানাতে হলে ভরসা স্থানীয় নেতারা। তাঁদের মাধ্যমেই খবর পাঠাতে হয় বিধায়ককে।

    অনেক সময় সেই খবর বিধায়ক পর্যন্ত পৌঁছয়ও না। তাই এবার হাতের সামনে গ্রামের মধ্যে বিধায়ককে পেয়ে আর ছাড়তে চাইলেন না গ্রামবাসীরা। বুধবার এমনটাই ঘটল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল বিধানসভা এলাকার সতীশ সামন্ত গ্রাম পঞ্চয়েতে।

    বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তীকে হাতের সামনে পেয়ে নিজেদের যাবতীয় দুঃখ দুর্দশা, অভিযোগ মন খুলে জানাল গ্রামবাসীরা। রাজ্যের মানুষ সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা ঠিকঠাক পাচ্ছে কি না, সাধারণ মানুষের কি অভাব অভিযোগ রয়েছে তা জানতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'দিদির সুরক্ষা কবজ' কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাড়ায় পাড়ায় পাঠাচ্ছেন।

    গত ১১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে এই কর্মসুচি। বুধবার এলাকার সতীশ সামন্ত গ্রাম পঞ্চয়েতে '' কর্মসূচি মধ্য দিয়ে মহিষাদল বিধানসভা এলাকার ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কর্মসূচি সম্পূর্ণ হয়। বুধবার সকাল থেকে মহিষাদল ব্লকের সতীশ সামন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, প্রাথমিক স্কুলে, হাই স্কুলে যান বিধায়ক।

    স্কুলে পড়ুয়াদের মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি উপহার সামগ্রী তুলে দেন বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী। এছাড়াও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুদর্শন মাইতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রাখাল মন্ডল, ঘনশ্যাম দেবনাথ, ব্লক নেতা চবিলাল মাইতি সহ অন্যান্যরা।

    এদিন এলাকার সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা যেমন বিধায়ক শোনেন, তেমনি , স্কুলে সঠিক পরিষেবা প্রদান হচ্ছে কি না এই সব বিষয় খতিয়ে দেখেন বিধায়ক। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আজ অনেকদিন পরে এই এলাকায় মানুষদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হল। সবাই মিলে ঘিরে ধরে আমাকে নিজেদের সমস্যার কথা বললেন। আমি সবাইকে এক এক করে নিজেদের যা যা সমস্যা বা অভিযোগ রয়েছে সবই বলতে বলেছি। প্রত্যেকটা কথা নোটও করেছি। যত দ্রুত সম্ভব এই গ্রামবাসীদের যাবতীয় অভিযোগের সুরাহা করা হবে।"

    এক গ্রামবাসী বলেন, "বিধায়কের দফতরে গেলেও অনেক সময় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনা। উনি ব্যস্ত মানুষ। আজ আমাদের গ্রামে এসেছেন। তাই সব কিছু খুলে বলেছি। উনি আশ্বাস দিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু মিটিয়ে দেবেন।"
  • Link to this news (এই সময়)