• কার্শিয়াঙের ঐতিহাসিক ঘুমটি রিসর্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ব্রিটিশ আমলের ঐতিহ্য!
    এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৩
  • কার্শিয়াঙের ঐতিহাসিক ঘুমটি রিসর্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ব্রিটিশ আমলের এই বাংলোতে বুধবার সকালে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাংলো জুড়ে। বাংলোর অধিকাংশ অংশই পুড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চার থেকে পাঁচ কোটি টাকার জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে জানানো হয়েছে। দমকলের দেরিতে আসা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন রিসর্টের পরিচর্যাকারী।

    ঘুমটি চা বাগানের মধ্যে অবস্থিত ঘুমটি রিসর্টে বুধবার সকালে আগুন লাগে। ইলেকট্রিক শট সার্কিটের কারণে এই রিসর্টে আগুন লেগে যায় বলে প্রাথমিক ধারণা দমকলের। প্রচুর কাঠের জিনিস থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে রিসর্টের বিস্তীর্ণ অংশ। রিসর্টের পরিচর্যাকারী এবং অন্যান্য কর্মচারীরা আগুন নেভানোর সাময়িক চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। রিসর্টের তরফে দ্রুত খবর দেওয়া হয় দমকলে।

    অভিযোগ, দমকল এদিন কিছুটা দেরিতে এসে পৌঁছয়। পাশাপাশি, রিসর্টের সামনে দমকল এসে পৌঁছলেও জলের পাইপ খারাপ ছিল। জলের পাইপ ঠিক করে আগুন নেভানোর কাজে নামতে নামতে রিসর্টের অধিকাংশ অংশ পুড়ে যায় বলে অভিযোগ। ব্রিটিশ আমলের একাধিক আসবাবপত্র থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি টাকার জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    রিসর্টের পরিচর্যাকারী জহর চৌধুরী বলেন, “আজ সকালে ঘুমটি চা বাগানের মধ্যে অবস্থিত ঘুমটি রিসর্টে আগুন ধরে যায়। ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের কারণেই রিসর্টে আগুন ধরে গিয়েছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে সমকলকে খবর দিই। তবে অনেকটা সময় পর দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে হাজির হয়। তাছাড়া ওদের জলের পাইপও খারাপ ছিল। আগুন নেভানোর আগেই রিসর্ট পুড়ে গিয়েছে।” রিসর্টের মালিক, স্থানীয় এসডিও, থানায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পাঠানো হয়।

    প্রসঙ্গত, ১৮৯৯ সালে ব্রিটিশ সাহেব হেনরি মন্টগোমেরি লেনক্স ঘুমটি রিসর্টটি নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৫০ সালে কেজরিওয়াল ও মহাবালী প্রসাদ এই চা বাগান ও রিসর্টের মালিকানা গ্রহণ করেন। কার্শিয়াং-এ প্রায় ৪,১০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের কোলে এই রিসর্টটি ঘুমটি চা বাগানের মাঝে অবস্থিত। বৃহৎ আকারের চারটি বড় ঘর, বারান্দা, ব্যালকনি, লাইব্রেরি, ফায়ার প্লেস সহ ঝাঁ চকচকে এই রিসর্ট ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। আগুন লেগে এই রিসর্টের ক্ষতি হয়ে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও চা বাগান কর্মীরাও।
  • Link to this news (এই সময়)