• পুজোর ছুটিতে বাড়ি ফেরা হল না, আলিপুরদুয়ারের যুবকের রহস্যমৃত্যু
    এই সময় | ০২ অক্টোবর ২০২২
  • Alipurduar young man body found : দীর্ঘ করোনাকাল কাটিয়ে দু-বছর পর বাড়ি ফেরার কথা আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ঘাগড়া এলাকার বর্মন পরিবারের ছোটো ছেলে সঞ্জীবের। দীর্ঘ দু-বছর পর ছেলের মুখ দেখবেন বলে আশায় বসেছিলেন সঞ্জীবের মা লক্ষ্মী বর্মন। কিন্তু, বাঙালির শ্রেষ্ঠ দুর্গোৎসবেই শোকের ছায়া নেমে এল পরিবারে। পঞ্চমীর মধ্যরাতে সঞ্জীবের মৃত্যুর খবরে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে পরিবার। উত্তরপ্রদেশে ট্রেনে কাটা পড়ে সঞ্জীবের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। যদিও এর পিছনে অন্য রহস্য রয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

    পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশনের কাছে রেললাইনে থেকে উদ্ধার হয় সঞ্জীব বর্মনের ক্ষতবিক্ষত দেহ।মৃতদেহের সঙ্গে থাকা পরিচয় পত্র দেখে সঞ্জীবকে চিহ্নিত করে পরিবার। ২৭ সেপ্টেম্বর দেহটি উদ্ধার হলেও শনাক্ত হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর। রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে। যদিও মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য রয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বাসিন্দা সঞ্জীব বর্মন দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ ভারতে কাজ করতেন। করোনার জন্য গত দু-বছর বাড়ি ফেরেননি। এবার পুজো. বাড়িতে ফিরে ছোটো বোনকে মাস্টার্স ডিগ্রিতে ভর্তি ও বাড়ির সকলকে পুজোর জামা কাপড় কিনে দেবে বলে ফোনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সঞ্জীব। সেই আশায় বুক বেঁধে ছিলেন পরিবারের সকলেই। ক্লাবের পুজোতে ঢাকের খরচও দেওয়ার কথা ছিলো তাঁর। পঞ্চমীর মধ্যরাতে পুলিশের তরফে খবর পেয়ে পুজোতে আর আনন্দ করা হল না সঞ্জীবের পরিবারের।

    সঞ্জীবের পরিবারের তরফে জানানো হয়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ভারত থেকে এক সহকর্মীর সঙ্গে ট্রেনে চেপে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন সঞ্জীব। ২৭ তারিখ তাঁর সকালেই বাড়িতে ফেরার কথা ছিল সঞ্জীবের। প্রাথমিকভাবে ট্রেন লেট হওয়ার কারণে ছেলের বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে বলে মনে করছিল পরিবার। তার মধ্যে মোবাইলেরও সুইচ অফ। পরের দিনও সঞ্জীবের কোনও খোঁজ না পেয়ে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে GRP অফিসে গিয়ে অভিযোগ করে পরিবারের লোকেরা। এরপরেই কর্মস্থলে এক পরিচিত সহকর্মীকে ফোন করে জানা যায়, সঞ্জীব অপর এক সঙ্গীর সঙ্গে আলিপুরদুয়ারে ফিরছেন। সেই সঙ্গী যুবকের ফোন নম্বর ও ঠিকানা জোগাড় করে সঞ্জীবের পরিবার সেখানে গিয়ে দেখেন, তিনি সঠিক সময়ে বাড়ি ফিরেছেন। এমনকি তাঁর কাছে সঞ্জীবের ব্যাগপত্র পাওয়া গিয়েছে। সঞ্জীবের ওই বন্ধু জানান, হঠাৎ মাঝপথে সঞ্জীবকে আর দেখতে পাননি তিনি। এরপর পঞ্চমীর রাতে সঞ্জীবের মৃত্যুর খবর আসে।
  • Link to this news (এই সময়)