• মিটতে চলেছে রোগী পরিবহনের সমস্যা, ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স চালু ঝাড়গ্রামে
    এই সময় | ২৩ মার্চ ২০২৩
  • West Bengal News : ঝাড়গ্রাম জেলায় এই প্রথম ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করা হল। ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে এই অ্যাম্বুল্যান্স প্রদান করা হয়। বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলা শাসকের অফিস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাস্থ্য দফতরের হাতে অ্যাম্বুল্যান্সটি তুলে দেওয়া হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, জেলাশাসক সুনীল কুমার আগরওয়াল এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা।

    এই বিষয়ে এদিন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, "ঝাড়গ্রামের মত জায়গায় সঠিক অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দীর্ঘদিনের সমস্যা। ঝাড়গ্রাম মূলত বনাঞ্চল। জঙ্গলের মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে বনের পথই ভরসা। সেকথা চিন্তা করেই এই ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রীও এই অ্যাম্বুল্যান্সের কথা বলেছিলেন। মানুষের সুবিধার্থে আজ তা চালু হল।"

    এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল জরুরি ভিত্তিতে রোগীর কাছে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছে দেওয়া। জেলায় রোজই কোথাও না কোথাও কোনও না কোনও রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার দরকার পড়ে। দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছনোর উপরেই অনেকক্ষেত্রে বাঁচা মরা নির্ভর করে থাকে।

    সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্স খোঁজা, ভাড়া ঠিক করা সব মিলিয়ে অনেকটা সময় লেগে যায়। আর ততক্ষণে রোগীর প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। এই ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্সর মাধ্যমে এই সমস্যা মেটানো যাবে বলে মনে করেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা।

    এই বিষয়ে তিনি বলেন, "বেশ কয়েকমাস ধরেই এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালুর কথা ভাবা হচ্ছিল। জেলার নাগরিকদের মধ্যে থেকে দাবিও উঠছিল অনেক। সেই অনুরোধকে সামনে রেখেই আজ এই পরিষেবার উদ্বোধন করা হল। আশা করা যায় রোগীর পরিবারের তরফ থেকে ডাক পেলেই এই চটজলদি সাড়া দেবে ও রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সাহায্য করবে।"

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তরফে নানান সময়ে বিভিন্ন জায়গায় অনেক ধরনের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করা হয়েছে। ২০১১ সালে মাতৃযান প্রকল্পের সূচনা করেছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল রাজ্যের প্রত্যেক প্রসূতি মহিলাই প্রসবের আগে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য এবং ডেলিভারির পর হাসপাতাল থেকে ফেরার জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পাবেন।

    শিশুর ২৮ দিন বয়স পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য মা ও শিশুর হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও নিখরচায় মাতৃযান পাওয়া যায়।
  • Link to this news (এই সময়)