• অসমের বিদ্যুতে আলো জ্বলবে বাংলার গ্রামে, কারণ জানলে অবাক হবেন
    এই সময় | ২৩ মার্চ ২০২৩
  • বাংলার গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে অসমের বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি! বুধবার এই লক্ষ্যে বাংলা ও অসমের বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির আধিকারিকরা যৌথভাবে সার্ভে করেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি কোনওপক্ষই। তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির এক আধিকারিক জানান, গোটা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

    স্বাধীনতার কয়েক দশক পেরিয়ে গেলেও তুফানগঞ্জ -২ ব্লকের পূর্ব ফলিমারি, ছাট ফলিমারি ও ছিট বড় লাউকুঠি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। দিন দুয়েক আগে ওই গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। এবার বাংলার সেই তিনটি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে অসম! সেই লক্ষ্যে দুই রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি সার্ভে করল বুধবার। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার অসম থেকে বিদ্যুৎ কিনে ওই গ্রামগুলোতে সরবরাহ করবে।

    জানা গিয়েছে, বাংলা থেকে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব ফলিমারি, ছাট ফলিমারি ও ছিট বড় লাউকুঠি গ্রাম বিচ্ছিন্ন করেছে সংকোষ নদী । ওই তিনটি গ্রামের বাসিন্দা সংখ্যা ১২ হাজার। হাটবাজার থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা সবকিছুর জন্যই বাসিন্দাদের গ্রাম লাগোয়া অসমের ওপর নির্ভর করতে হয়। নদী দ্বারা বাংলার মূল অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে ওই তিনটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। তুলনামূলক অসম থেকে ওই তিনটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনো সহজ। তাই রাজ্যের তরফে মার্চের শুরুতে অসমের বিদ্যুৎ কর্পোরেশন ওই তিনটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

    এরই মধ্যে গত সোমবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক পূর্ব ফলিমারি গ্রামে গেলে সেখানকার বাসিন্দারা বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের হুমকি দেওয়া হয়। তারপর এদিন দুই রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির আধিকারিকরা ওই গ্রামগুলোতে যান সমীক্ষার জন্য। কোচবিহার জেলা তৃণমুল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, দীর্ঘ বাম জমানায় ওই গ্রাম গুলোতে বিদ্যুৎ পৌছায়নি। বর্তমানে রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওই গ্রামদুটি একদম অসম লাগোয়া হওয়ায় অসমের লাইন দেওয়া সহজ। সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য অসমের কাছ থেকে লাইন চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। এদিন সমীক্ষা করা হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)