বুধবার সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পা রাখতেই জনজোয়ারে ভেসে যান রিচা। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। বাগডোগরা থেকে সোজা শিলিগুড়ির সাংবাদিক ক্লাবে যান রিচা। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সাংবাদিক বৈঠকে শিলিগুড়ি শহরের ক্রীড়া পরিকাঠামো নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন রিচা। তিনি বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে খেলার মাঠ নিয়ে আগেও অনেক বার বলেছি। যাঁরা দ্বায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা বিষয়টি দেখবেন বলেছেন। কিন্তু এখনও আমাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমাদের শহরের ছেলেমেয়েরা জেলা স্তরের বাইরে এগোতেই পারছে না।’’
তবে পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটা ভাল হয়েছে বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন রিচা। তিনি বলেছেন, ‘‘আগে তো মেয়েদের মাঠে ঢুকতেই দিত না। সেই সমস্যা অবশ্য এখন নেই। কিন্তু এখনও অনেক কাজ করতে হবে। সবাই মিলে আমাদের এগোতে হবে। সবেই আগামী প্রজন্মের জন্য অনেক কিছু রেখে যেতে পারব। সিএবি অনেক সাহায্য করছে। সেই সাহায্য আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’’
মেয়ে বাড়ি ফেরায় যে তাঁর পছন্দের রান্না মা করবেন, সেটা ভাল ভাবেই জানেন রিচা। কিন্তু নিজের ফিটনেস নিয়ে সচেতন তিনি। তাই বাড়ি ফিরলেও নিয়মে থাকতে চাইছেন। ভারতীয় উইকেটরক্ষক বলেছেন, ‘‘অনেক দিন পরে সবার সঙ্গে সময় কাটাব। জানি না মা কী রান্না করছে? পুরোটাই সারপ্রাইজ। কিন্তু আমাকে নিয়মে থাকতে হবে। তাই চাইলেও সব কিছু খেতে পারব না।’’ রিচা বাড়ির খাবার খেতে ভালবাসেন বলেই জানিয়েছেন তাঁর বাবা। মানবেন্দ্র বলেছেন, ‘‘বাড়িতে ভাত, ডাল, আলুভাজা হবে। এটাই রিচার পছন্দের খাবার। ওর তো সারা বছরই বাইরে কাটে। চাইনিজ বা কন্টিনেন্টাল খাওয়ার হামেশাই খাওয়া যায়। কিন্তু বাড়ির রান্নার এই স্বাদ তো আর বাইরে পাওয়া যায় না।’’