• বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বহিষ্কারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি হাইকোর্টের
    ২৪ ঘন্টা | ২৩ মার্চ ২০২৩
  • অর্ণবাংশু নিয়োগী: হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার। কীভাবে? তাঁকে বহিষ্কারের নোটিশে ৩ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

    ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যপালের আবেদনেও পিছু হটতে রাজি নন DA আন্দোলনকারীরা। ধর্মতলায় শহিদ মিনারের নিচে অবস্থান ও অনশন চলছে এখনও। শুধু তাই নয়, বকেয়া  DA-র দাবিতে ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটও পালন করেছেন যৌথমঞ্চের সদস্যরা। 

    এদিকে নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, ধর্মঘটে দিন অফিসে না এলে বেতন ও ছুটি কাটা হবে। এমনকী, চাকরিতে ব্রেক হবে সার্ভিস রেকর্ডও! কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর অভিযোগ, 'DA আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রেজিস্ট্রারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। কারা ১০ তারিখে ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন, সে বিষয়ে তথ্য চেয়েও পাওয়া যায়নি'। এমনকী,  ১৪ মার্চ রেজিস্টার চন্দন কোনারকে বহিষ্কারের নোটিশও জারি করেন তিনি।

    তাহলে? উপাচার্যের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছেন রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার। এদিন সেই মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। শুনানিতে মামলাকারী আইনজীবী বলেন, 'রেজিস্ট্রারকে বহিষ্কার করতে পারে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলর। উপাচার্যের সেই ক্ষমতা নেই'। উপাচার্যের আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, 'রেজিস্ট্রার প্রভেশন পিরিয়ডে ছিলেন। ফলে উপাচার্য চাইলে তাঁকে বহিষ্কার করতেই পারেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী সেই ক্ষমতা রয়েছে তাঁর'। সেই যুক্তি অবশ্য ধোপে টেকনি আদালতে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)