মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: অয়নের সঙ্গে মামাভাগ্নির সম্পর্ক নেই। ব্যাঙ্ক লেনদেনের অভিযোগও অস্বীকার করেছেন শ্বেতার। নেই ব্যাঙ্কের নথি। কীভাবে অয়নের সঙ্গে পরিচয়? জি চব্বিশ ঘণ্টায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে বলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। নিয়োগ দুর্নীতি ধৃত শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে শ্বেতার। ইডি দাবি করেছে, এই শ্বেতা আদতে অয়নের 'ঘনিষ্ঠ বান্ধবী'। আর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্বেতা।
শ্বেতার সঙ্গে অয়ন শীলের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টেরর হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাতে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেনও রয়েছে। ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শ্বেতাকে দামী এসইউভি গাড়ি উপহারেও দিয়েছিলেন অয়ন শীল। এ প্রসঙ্গে শ্বেতা বলেন, ''অয়নের প্রযোজনায় ছবিতে কাজ করেছি। আমি পারিশ্রমিকবাবদ কোনও টাকা নিইনি। তার বদলে গাড়িটা ব্যবহার করতে দিয়েছিল। অয়ন নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত ছিল জানতাম না। পঞ্চায়েতে কাজের সময় অয়নের সঙ্গে পরিচয়। অয়নের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়নি। ফ্ল্যাট কেনার জন্য টাকা দিয়েছিলাম পরে সেই টাকা ফেরত নিয়েছিলাম। সেই সূত্রে কিছু লেনদেন হতে পারে।''
আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে শ্বেতার দাবি, তিনি চুঁচুড়ার জগুদাসপাড়ার আবাসনের একটি ফ্ল্যাট অয়নের কাছ থেকে কিনবেন বলে ঠিক করেছিলেন। ফ্ল্যাট কেনার টাকাও তিনি অয়নকে দিয়েছিলেন। ফ্ল্যাট কেনার সময় তিনি ওই টাকা নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে অয়নের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, কামারহাটির রথতলায় অয়নের ভাগ্নি পরিচয়ে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন শ্বেতা। কামারহাটি পুরসভার PWD ডিপার্টমেন্টে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রের চাকরি করেন শ্বেতা। যদিও কামারহাটির ফ্ল্য়াটে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন শ্বেতা। তিনি বলেন, “এই গুলো সূত্র থেকে খবর পাচ্ছেন জানি না। আমি একজন মহিলা বলে এভাবে রঙ চড়িয়ে কথা বলছেন।''
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে অয়ন শীলের সাথে পরিচয় শ্বেতা চক্রবর্তীর। জানা যাচ্ছে অয়ন শীলের স্ত্রীর সুবাদেই মডেল শ্বেতার সাথে পরিচয় অয়নের। অয়ন শীল পেশায় প্রোমোটিং-এর ব্যবসা করেন। অয়ন শীলের প্রোমোটিংয়ের ব্যবসার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শ্বেতা। অয়ন শীলের প্রোডাকশন হাউসের তৈরি কবাডি কবাডি সিনেমাতেও অভিনয় করেন শ্বেতা চক্রবর্তী।